বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, বিএনপির নেতারও ঠিক নেই ভোটারও ঠিক নেই। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে আসামি আর তারেক রহমান লন্ডনে পলাতক। দলের নেতাই যদি ঠিক না থাকে তাহলে ভোটার কি ঠিক থাকবে। তাই তারা ভয় পায় যে নির্বাচনে ভরাডুবি হবে। বিএনপির দুই উইকেট পড়েছে। অলি আহমেদ ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন বিএনপি হচ্ছে। আরেকদিকে জামাত তাদের তালাক দিয়ে দিয়েছে। বিএনপির অনেক নেতারা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খালেদা তারেককে বাদ দিয়েই তারা নির্বাচনে আসবে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শহীদ মঞ্জুর স্টেডিয়ামে উপজেলা ছাত্রলীগ ও সরকারি সফর আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। সম্মেলনে সভাপতিত্বে করেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ত কাজী রাজিবুল ইসলাম জুয়েল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম বাবু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমূখ।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সে নির্বাচন হবে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। বঙ্গবন্ধু কন্যা সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না হতেও দিবেন না। তারা রাজপথে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আপনারা আপনাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন। সেখানে কোন বাধা নেই। তবে জনগণের জানমাল বিনষ্ট করার কর্মসূচি মানুষের দুর্ভোগের কর্মসূচি যদি দেন ছাত্রলীগের একটা কর্মী বেঁচে থাকতে আমরা সে সহিংস আন্দোলন হতে দেব না।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে নির্বাচন হবে। সে নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন। আর অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। আমরা বিশ্বাস করি আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচনে আসতে চায় না কারণ এ পর্যন্ত যত সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে কোন নির্বাচনে তারা ক্ষমতায় আসতে পারেনি। জিয়াউর রহমান সায়েমের বুকে পিস্তল ধরে হ্যা না ভোট করেছিল। ৯০ সালের ভোটের পর কেউ ভেবেছিল বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তারা সেদিন স্থূল কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে।
একাত্তরের রণাঙ্গনে যারা যুদ্ধ করেছিল। জীবনকে বাজি রেখে যারা লড়াই সংগ্রাম কেেরছিল তারা এখানে আছেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ কখনই হত না যদি না বঙ্গবন্ধু সেদিন মুক্তির ডাক না দিতেন। সেদিন তিনি মুক্তি সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন কারণ সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে মেন্ডেট দিয়েছিলেন। সত্তরের নির্বাচন হত না যদি উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান হত। আওয়ামী লীগেরও জন্ম হত না যদি ছাত্রলীগের জন্ম না হত। আর ছাত্রলীগেরও জন্ম হত না যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হত। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা একটি বৃত্তের তিনটি ফুল। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটির ইতিহাস লেখা সম্ভব না।