রাজশাহী নগরীতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিগণ অভিমত প্রকাশ করে বলেছেন, ‘শিগ্গিরই বাংলাদেশ নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে’। কারণ, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে দেশে মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ছিল। কিন্তু বর্তমানে এদেশে সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশ। এছাড়া, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে তৎপর রয়েছে। এজন্য সরকার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপরও বিশেষ জোর দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী।
দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। সারা বিশে^র মতো বাংলাদেশেও এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আর জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর উদ্যোগে-এর সদস্য দেশগুলোতে প্রতিবছর দিবসটি উদ্যাপিত হয়।
এসময় বক্তারা দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, সরকার কারিগরি, ভোকেশনাল শিক্ষাসহ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে নানা ধরনের কর্মমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আর সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে। যাতে দেশের বাইরে আমাদের সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন করা হয়।
‘শিক্ষা আলো, অশিক্ষা অন্ধকার’- তাই একটি আলোকিত জাঁতি গঠন করতে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষাই পারে একটি জাতিকে প্রকৃত সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে। কেননা, শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে প্রকৃত শিক্ষার বিকল্প নেই।
সভায় রাজশাহীর সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন।