কর্মসংস্থান ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কম্পিউটার ও মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হওয়ায় সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকার বেকার যুব সমাজে আশার আলো জ¦লতে শুরু করেছে। এতে পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি এলাকার শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী হওয়াসহ তাদের বেকারত্ব দূর হবে। গত ৪ সেপ্টেম্বর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার বাসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ২ মাস মেয়াদী কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক ও ১ মাস মেয়াদী মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ, শেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান, শেরপুর সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতি.দা.) মো. হামিদুর রহমান, ঝিনাইগাতী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুব ইলাহী, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর, ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. লাইলী বেগম, মৎস্য প্রশিক্ষক মো. ছাইদুল ইসলাম, কম্পিউটার প্রশিক্ষক তাইজুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম।
কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থী মো. সোহেল রানা বলেন, যুব উন্নয়নের এমন উদ্যোগে খুশি তারা। বিনা পয়সায় কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষে সনদসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে বলেও আশা তাদের।
কম্পিউটার প্রশিক্ষক তাইজুল ইসলাম বলেন, সরকার যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এতে পিছিয়ে পড়া তরুণ-তরুণীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী হওয়াসহ সাবলম্বী হতে পারবেন।
শেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষিতদের মধ্যে নতুন চেতনা আনতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ গ্রামের অবহেলিত যুব সমাজের বেকার সমস্যা দূরসহ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের অধীনে ‘টেকনোলজি এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টার অন হুইলস ফর আন্ডারপ্রিভিলেজড রুরাল ইয়ং পিপল অফ বাংলাদেশ (টেকাব- ২য় পর্যায়)’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তায় ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার বাসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ২ মাস ব্যাপী ৪ টি শিফটে ২০ জন পুরুষ ও ২০ জন নারীকে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ২৫ জনকে ১ মাস ব্যাপী মৎস্য চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।