নাটোরের লালপুরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি। এদের মধ্যে বেশীরভাগই রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাকুরিজীবী। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন। এখনো ২জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলা প্রশাসকের হাসপাতাল পরিদর্শন।
বুধবার (১৪-সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ডেঙ্গু রোগীদের সাথে দেখা করে তাদের আতঙ্কিত না হতে ও তরল খাবার খাওয়া সহ প্রয়োজনীয় দিকনির্দশনা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মনি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শাহাবউদ্দিন, আবাসিক মেডিক্যিল অফিসার সুরুজ্জামান শামীম প্রমুখ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৬জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে ১৩ আগস্ট ১জন, ১৯ আগস্ট ১জন, ১১ সেপ্টেম্বর ১জন, ১২ সেপ্টেম্বর ২জন সহ মোট ৬ জন। এদের মধ্যে ৪ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন। আরো ২জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আগষ্টে দুইজন আক্রান্ত হলেও সেপ্টেম্বর মাসের মাত্র ১২ দিনে চারজন আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়।
দুপুরে নাটোর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা সরকার মোঃ শফিকুল ফেরদৌস ও সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হাফিজার রহমান ডেঙ্গু রোগীদের খোঁজ খবর নেন ও রোগীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এ সময় তাঁরা ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা কক্ষে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেনেটারী ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আবাসিক মেডিক্যিল অফিসার ডাক্তার সুরুজ্জামান শামীম জানান, গত এক মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ৬ ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাকুরিজীবী। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছেন। আরো ২জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁরা আগের চেয়ে ভাল আছেন।