ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সন্তান কোলে নিয়ে স্বামীর ভিটিতে অধিকার আদায় করতে এসে নির্যাতনের শিকার হন এক বিধবা। প্রয়াত স্বামী একাধিক বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের বাধার মুখে পরে ওই বিধবা। দুইটি মেয়ে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী গফরগাঁও থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
রুমা আক্তার জানায়, বিগত ২০০৭ সালে গৌরীপুর উপজেলার গংঙ্গাশ্রম গ্রামের আহাম্মদ আলীর মেয়ে রুমা আক্তার কে গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়া গ্রামের প্রয়াত শহীদ আঃ জব্বার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এ, এইচ, এম আসাদ ওরফে নয়ন দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে পাশ^বর্তী শ্রীপুর থানাধীন জয়নাবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে দুইটি কন্যাসন্তান জন্ম লাভ করে। গত ২৯ জুন ২০০১ সালে শিক্ষক এ,এইচ,এম আসাদ ওরফে নয়ন মারা যান। জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি তিনটি বিয়ে করেন। গত রোববার ও সোমবার স্বামীর ভিটিতে অধিকার আদায় করতে গেলে বিপত্তি ঘটে তখনই। আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৪৫) ও তাঁর দুই সন্তান মোজদালিফা ফেন্সি (২৫) ও আল মাহাদি হাসান (২৪) মিলে গালিগালাজ, মারপিট করে আমাকে তাঁড়িয়ে দেয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে গফরগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার এতিম সন্তানদের আমার স্বামীর পেনশনের টাকা ও সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে আমাকে ও সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। গত দুইদিন আমাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। দুইটি কন্যাসন্তান নিয়ে আমি অনেক কষ্টে আছি। আমি আমার ও সন্তানদের প্রাপ্য অধিকার চাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুল আলম বলেন, শিক্ষক নয়ন মারা যাওয়ার পর তাঁর তিন স্ত্রী নিয়ে একাধিক বার স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করতে বসেছি। কিন্তু তাঁরা ঐক্যমতে আসেনি বলে এখনও পেনশনের টাকা তুলতে পারছে না। আর সম্পত্তির নিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আল মাহাদি হাসানের সাথে কথা বললে তিনি মারপিটের ঘটনার অভিযোগ অ¯ী^কার করে বলেন, আমার সৎ মা পুরাতন ঘরে থাকতে চান কিন্তু আমরা উনাকে বলেছি বাবার ভিটিতে খালি জায়গায় ঘর নির্মান করে থাকার জন্য।
গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। একজন অফিসারকে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঁঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।