পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জেলি-যুক্ত চিংড়ি মাছ সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরা হলেন, মাছ ব্যবসায়ী আলী আকবর ও আনিস হোসেন। এ সময় জেলি-যুক্ত ১০ কেজি বাগদা চিংড়ি জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে পৌরসভার ভাঙ্গুড়া মাছ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থদন্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কয়েকজন অসাধু মাছ ব্যবসায়ী বড়ালব্রীজ ও ভাঙ্গুড়া মাছ বাজারে ক্ষতিকর জেলি-যুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রি করে আসছেন। এমন অভিযোগর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ভাঙ্গুড়া মাছ বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে জেলি-যুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির সময় দুই ব্যবসায়ীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় সেখান থেকে জেলি-যুক্ত ১০ কেজি বাগদা চিংড়ি মাছ জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান জানান, ' ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫২ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেককে ৫ হাজার করে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডারোপ করা হয় এবং জব্দকৃত জেলি-যুক্ত ১০ কেজি চিংড়ি মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করা হয়।