প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে পর্যটনে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। শীঘ্রই গারো পাহাড়ে পর্যটকদের জন্য পর্যটন মোটেল তৈরী করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলার নালিতাবাড়ীর মধুটিলা ইকোপার্ক পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি অরো বলেন, গারো পাহাড়ে বন্যহাতির চলাচলের জন্য ইকো সিস্টেম ব্যবস্থা বজায় রেখেই এই ট্যুরিজম করা হবে। তাই বনে বেশি করে গাছ লাগিয়ে আরো সোন্দর্য বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। একসময় শেরপুর জেলার পর্যটন এলাকা দেখতে বিদেশী পর্যটকরা আসবেন। এদিন তিনি ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ কেন্দ্র ও শ্রীবরদী উপজেলার রাজা পাহাড় ঘুরে দেখেন।
জানা গেছে, শেরপুর জেলা প্রশাসন নিজস্ব তহবিল থেকে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের কিছু উন্নয়ন করে আসছে। আবার ময়মনসিংহ বনবিভাগের পরিচালিত মধুটিলা ইকোপার্কটির উন্নয়ন দীর্ঘদিন ধরে থেমে রয়েছে। এসব পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন করে দর্শনার্থীদের সামনে আরো আকর্ষনীয় করতে বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পর্যটন কর্পোরেশনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল গারো পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রেগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী কদর, বাংলদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, বেসরকারী বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, শেরপুর জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তাদিরুল ইসলাম, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন ও বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।