সস্তা বিদ্যুতের কথা বলে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে বাংলাদেশেও পরিবেশ দূষনে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর অলকার মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা উল্লেখ করেন। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবর্তন ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সটার্নাল ডেব্ট- বিডাব্লুজিইডি-এর যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত অভিঘাতের জন্য আমরা একসময় ধনী দেশ গুলোকে দায়ী করতাম। দেশের পরিবেশবাদীরা সুন্দরবনের পাশে রামপালসহ বিভিন্ন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করে এসেছে। এর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন জ্বালানী খাতের বিষয়ে তাদের মতামত উপস্থাপন করেছে। কয়লাতে বিনিয়োগকারিরা সারা বিশে^ তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষিত রাখার জন্য সকল শর্ত নিজেদের পক্ষে রাখে। এই পরিবেশ ধ্বংশকারী জীবাশ্ব জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে সারা বিশে^ প্রতিবাদ চলছে। যে কারণে পরিবেশ ধ্বংশকারী জীবাশ্ব জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধের জন্য দেশের নাগরিক সমাজকে আরো সোচ্চার হতে হবে।
বক্তারা জানান, এ সপ্তাহে পৃথিবীর সবথেকে বড় জ্বালানি কোম্পানিগুলো জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত ইউএন গ্লোবাল কমপ্যক্ট নামে একটি সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। সম্মেলনের প্রথম দিন পৃথিবীর সবথেকে ধনী ১০টি জ্বালানি কোম্পানির কর্তাব্যক্তিরা বক্তব্য রাখবেন এবং তাদের পরিকল্পনা পেশ করবেন। আমরা এই নোংরা কোম্পানিগুলো যাতে জাতিসংঘের মঞ্চে না থাকে এবং তারা যেন তাদের জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ করে সেজন্যই মনববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
মনাববন্ধনে বক্তব্য দেন- মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন, মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা সভাপতি কল্পনা রায়, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পরিচালক (লিগ্যাল) অ্যাডভোকেট দিল সেতারা বেগম চুনি, অগ্নি প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারি হাসিবুল হাসান এবং উইমেন ইন্টার প্রেনিয়র অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ওয়েব জেলা সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি প্রমুখ।