ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নে গত রোববার রাতের আঁধারে গাছ কেঁটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম মজনু (৫০) পাগলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম মজনু অভিযোগ করে বলেন, আমি স্থানীয় চা বিক্রেতা আনারের কাছ থেকে ২০১৩ সালে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করি। পরে জমিটিতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাটি কেঁটে উঁচু করি ও নানান জাতের ফলজ গাছ রোপন করি। জমি ক্রয়ের প্রায় ৮ বছর পর আমার চাচাতো ভাই মাহাবুল আলম লিটন, মাহমুদুল আলম শিখন, রুকনুজ্জামান, আমিনুল হক, কামরুজ্জামান রিপন ও মেয়ে বিউটি আক্তার জমির মালিকানা দাবি করে। এ নিয়ে তাদের সাথে আমার বিরোধ তৈরি হয়। এই বিরোধ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় শালিস দরবার হয়। আমার চাচাতো ভাই বোনদের কাছে জমির বৈধ কোন কাগজ না থাকায় এই জমির ভোগদখল করার জন্য আমার পক্ষে রায় দেয়। পরে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হয়রানি করতে ময়মনসিংহ আদালতে মিথ্যা মামলা করে তারা। এতেও তাঁরা ক্ষান্ত হয়নি গত রোববার রাতের আঁধারে আমার জমিতে প্রবেশ করে পেঁপে, কাঁঠাল, সাজনা ও কলা গাছসহ অর্ধ শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিজেই বাদী হয়ে পাগলা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাহাবুল আলম লিটনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমরা ভাই বোন মিলে ওই জমিতে ২ শতাংশ জমি পাই। গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে প্রতিবেশী শাহনাজ (৪৫) বলেন, গাছ কেটে ওরা বাগান থেকে বের হওয়ার সময় আমি তাদের জিঙ্গেস করলে আমাকে হুমকি দিয়ে চুপ থাকতে বলে। পরে কয়েকজন পাশের বাড়ির দিকে ও কয়েকজন খালের পাড় দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বাচ্চু বলেন, এই জমির প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম মজনু। স্থানীয় ভাবে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে আমরা শালিস দরবার করে জমির মালিকানা ও ভোগদখল করার জন্য আজহারুল ইসলাম মজনুর পক্ষে রায় দিয়েছি।
পাগলা থানার ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।