খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলাধীন দুর্গম ভারত সীমান্তবর্তী নাড়াইছড়িতে দর্পণ চাকমা (৩২) নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস (সন্তু লারমা) সমর্থককে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার নাড়াইছড়ি বাজার থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাইনী নদীর পাড়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে বলে সূত্র জানায়।
এ হত্যাকান্ডের জন্য ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসীত খীসা গ্রুপকে দায়ী করছে (সন্তু লারমা) জেএসএস। তবে তা অস্বীকার করে ইউপিডিএফ এর পক্ষ থেকে জেএসএসের দুটি পক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে এ হত্যাকান্ডে জন্য দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় নাড়াইছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ’র সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম নেই।
দর্পণ চাকমা হত্যাকান্ডে ইউপিডিএফ’র সম্পৃক্ততা নয় জানিয়ে সংগঠনটি জেএসএস (সন্তু লারমা) দুই পক্ষের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দর্পণ চাকমা মারা গেছে দাবী করেন। এদিকে জেএসসের (সন্তু লারমা) পক্ষ থেকে ‘নিহত দর্পণ চাকমা তাদের সংগঠনের সমর্থক জানালেও নিহতের বাড়ি কোথায় তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংগঠনটি।
ঘটনার বিষয়ে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম পেয়ার আহমেদ বলেন, ‘নাড়াইছড়ি এলাকায় ১জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে দর্পণ চাকমা (৫ নম্বর) বাবুছড়া ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী নাড়াইছড়ি বাজারে দোকানে বসে থাকা অবস্থায় ৮/১০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ দোকান থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে মাইনী নদীর পাড়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।