নেত্রকোনার কলামাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান পাঠানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে সীমানার খুঁিট ভেঙে জোর পূর্বক ২৭৫টি চারা গাছ উপড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার রাতে রংছাতি গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মো. ইউনুস আলী বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় .২৪ শতক জায়গা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনুস আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সহকারি জজ আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। ওই জায়গায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর মো. ইউনুস আলী ইউক্যালিপটাস ও মেহগনি জাতের ২৭৫টি গাছের চারা লাগান। পরে তিনদিন পর সোমবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে ওই গাছগুলো ও সীমানার খুঁিট উপড়ে ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনুস আলী জানান, ২০২১ সালে .২৪ শতক জায়গা সাফ কাওলা দলিল মুলে ক্রয় করি। পরে আমার ভোগদখলে থাকা ওই জায়গায় গত শুক্রবার ইউক্যালিপটাস ও মেহগনি জাতের ২৭৫টি গাছের চারা লাগাই। সোমবার দুপুরে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে ওই গাছগুলো উপড়ে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। এতে আমি প্রতিবাদ করিলে চেয়ারম্যান আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় পরে ওইদিন রাতেই কলমাকান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। যাহা থানা পুলিশ জিডি নং-৯৬১, তারিখ-১৯/০৯/২০২২ খ্রি. নথিভুক্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
রংছাতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান পাঠান বলেন, জায়গাটি ইউপি’র। এ-সংক্রান্ত দলিলও রয়েছে। ১৯৬৩ সালে ওই জায়গা তৎকালীন ইউনিয়ন কাউন্সিলকে দান করেন গিয়াস উদ্দিন পাঠান। সম্প্রতি ইউনুস আলী ওই জায়গায় জোর করে কিছু চারা গাছ লাগায়। পরে আমরা উপড়ে ফেলে দিই।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, সোমবার রাতে এ বিষয়ে ইউনুস আলী বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান পাঠানসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।