হবিগঞ্জের মাধবপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ১২৪ টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই মন্ডপ গুলোতে চলছে প্রতীমা তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ, ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা। পূজা আনন্দঘন এবং শান্তির্পূন করতে পুলিশসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তÍুতি গ্রহন করা হয়েছে। ১ অক্টোবর পঞ্চমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের ওপর ঝরে পড়া বকুল ফুল কুড়ানোর সময়টাতে মাতৃবন্দনায় মিলিত হবেন মাতৃভক্তবৃন্দ সকলেই।
ইতোমধ্যে শিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরুপে ফোটে ওঠছে দৃষ্টি নন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। এ কাজে খুবই ব্যস্থ সময় পার করছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা। দেবী দূর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শংখ ধ্বনী আর উলুধ্বনী দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরন করে নেয়ার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা।
উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক লিটন রায় জানান-সরকারী নির্দেশনা মেনে দুর্গাপুর উপজেলায় এবার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে ১২৪টি মন্ডপে পূজা উৎযাপন করা হবে। জাঁতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসব সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের কাটিয়ারার প্রতিমা শিল্পী রিপন পাল জানান ছোটবেলা থেকে কাদামাটি ও রং তুলির সঙ্গে বেড়ে ওঠা রিপন পালের জন্ম এ এলাকায়। প্রতিবছর তিনি ২৫ থেকে ৩০ সেট প্রতিমা তৈরির ফরমাশ নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ইতোমধ্যে ৭ সেট প্রতিমা বিক্রি করেছেন। প্রতি সেট প্রতিমা তৈরিতে ব্যয় হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। বিক্রি করেন ২৫ হাজার টাকায়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। আইন-শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে আমরা কাজ করছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করছি শারদীয় পুজা ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।