সারাবিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা দেয় সরকার। টানা ২ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকায় বিদ্যালয় মেরামতের জন্য গাইবান্ধার সুুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লক্ষ টাকা হারে বরাদ্দ পেয়েছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২ ধাপে উপজেলার ৯৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত বাবদ ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই মেরামতের বরাদ্দকৃত টাকায় থাকবে শহীদ মিনার, শ্রেণিকক্ষের দেওয়াল, টিন, মেঝে পাকা করণ, গ্রিল, ওয়াশব্লোকসহ বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট, শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে নানা রং করা এবং বাংলা ইংরেজি অক্ষর, গাণিতিক চিহ্ন ছাড়াও দেওয়ালে দেওয়ালে আঁকা হবে দেশ বরেণ্য লেখক ও মনীষীর ছবি। উপজেলার ৯৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এভাবেই দৃষ্টি নন্দন করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
উপজেলায় ২৫৯ বিদ্যালয়ের মধ্যে ২ ধাপে (৭২+২২)=৯৪ বিদ্যালয়ের কক্ষ সংস্কার বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়নসহ সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে জানা যায় ওই ২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজ সরকারি বিধি মোতাবেক আয় কর, ভ্যাট পরিশোধ করে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকরা পেয়েছেন এবং পরিকল্পনা মোতাবেক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন মেরামত, সংস্কার, বিদ্যালয় ভবনের রংয়ের কাজ, মাঠে মাটি ভরাট, শহীদ মিনার নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেছেন প্রধান শিক্ষকগণ।
উপজেলার শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন জানান, বিদ্যালয় মেরামতের বরাদ্দ এসেছে ২ লক্ষ টাকা, আয় কর ভ্যাট বাদ দিয়ে ২ ধাপে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা পেয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ শ্রেণি কক্ষের দরজা, জানালা, মেরামত সহ বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ রংয়ের কাজ করা হয়েছে। পশ্চিম শিবরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী জানান, বরাদ্দকৃত টাকায় বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট, শ্রেণি কক্ষের গ্রিল, ফ্যান এবং বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ এর লাইল ওয়েরিংয়ের কাজ করা হয়। পূর্ব ঘগোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রোকসনা বেগম জানান, বরাদ্দকৃত টাকায় বিদ্যালয় মাঠে মাটি ভরাট ও শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। ফতেখাঁ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ বদিউল কারেমিন জানান, বরাদ্দকৃত অর্থে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের দেয়াল সংস্কারসহ রং করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের জন্য চেয়ার টেবিল ক্রয় করা হয়েছে। তারাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ নাছিমা বেগম জানান, বরাদ্দকৃত টাকায় বিদ্যালয়ে শ্রেণি কক্ষ রং, শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ও বাহিরের দেওয়ালে দেশ বরেণ্য লেখক ও মনীষীর ছবি অঙ্কন করাসহ বিদ্যালয়ের সংস্কারের করা করা হয়। উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিপ্লব হাসান মদিনা জানান, পিইডিপি-৪ এর আওতায় উপজেলার ৯৪ টি বিদ্যালয়ের সংস্কার, শহিদ মিনার নির্মাণ, মাঠে মাটি ভরাট করণ, বিদ্যালয় ভবন রং করাসহ কবি সাহিত্যিকসহ দেশ বরেণ্য মনীষিদের ছবি অঙ্কন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দৃষ্টি নন্দন করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ পরিদর্শন করছি, প্রতিটি বিদ্যালয়ের কাজ খুব সুন্দর হচ্ছে এখানে কাজের ফাঁকি দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। কাজ শেষ করে আমরা বিল পরিশোধ করছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে. এম হারুন উর-রশিদ জানান, সরকারি প্রকল্প (পিইডিপি)-৪ আওতায় উপজেলার ২৫৯ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৪ টি বিদ্যালয়ে সংস্কার, শহিদ মিনার নির্মাণ, মাঠে মাটি ভরাট করণ, বিদ্যালয় ভবন রং করাসহ কবি সাহিত্যিকসহ দেশ বরেণ্য মনীষিদের ছবি অঙ্কন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দৃষ্টি নন্দন করার কাজ শেষ পর্যায়ে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ ওই কাজ গুলো নিবির ভাবে তদারকি করেছে। এছাড়াও আমি নিজেও প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করেছি, বিদ্যালয়গুলোর কাজের গুনগত মান সন্তোষজনক। কাজগুলো সর্ম্পুণ হলে বিদ্যালয় সমূহ দৃষ্টি নন্দন হবে।