ভোলার চরফ্যাশনে একটি দেশি পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়ছে। চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাঢ়ী বাড়ির আবদুল মতিনের খামারে একটি পাতিহাঁস গত দুই দিনে দুটি কালো ডিম পেড়েছে। পাতিহাঁসের কালো ডিম পাড়া নিয়ে এলাকাজুড়ে মানুষের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লোকজন এখন এক নজর ওই কালো ডিম দেখতে মতিনের বাড়িতে ভিড় করছে। সংবাদ পেয়ে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরাও কালো ডিম দেখতে যাচ্ছেন মতিনের গ্রামের বাড়িতে। খামারি আবদুল মতিন জানান, তাঁর খামারের একটি পাতিহাঁস বুধবার প্রথম একটি কালো ডিম পাড়ে। ফের বৃহস্পতিবারও আরেকটি কালো ডিম পেড়েছে। প্রথম দিনের ডিমটি ছিল কুচকুচে কালো। আজকের ডিমটির কোথাও কোথাও নীলচে ছোপ রয়েছে। তবে ডিমের বেশির ভাগ অংশ ছিল কালো। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, হাঁসের ডিম সাধারণত সাদা রঙয়ের হয়। কিন্তু কালো ডিম দেওয়া খুব অস্বভাবিক কিছু না। প্রথমবার ডিম পাড়ার সময় এমন হতে পারে। এটা সচরাচরই হয়। পরে ঠিক হয়ে যায়।আবদুল মতিন আরও বলেন, তাঁর স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘরে হাঁস-মুরগি পালন করে সংসারে বাড়তি আয় করেন। আট মাস আগে প্রতিবেশীর কাছ থেকে ২১টি ছোট হাঁসের বাচ্চা কিনে আনেন। কাক, চিল, শিয়ালে নেওয়ার পর এবং রোগে ভুগে মারা যাওয়ার পর ১১টি হাঁস টিকে আছে। আবদুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, তাঁর পালিত ১১টি দেশি হাঁসের মধ্যে ৮ মাস বয়সের একটি পাতিহাঁস গতকাল প্রথম ডিম পাড়ে। তবে ডিমের রং একেবারে কালো দেখে প্রথমে তিনি ভয় পেয়ে যান। পরে ডিমটি বাড়ির অন্যান্যের দেখান। মুহূর্তের মধ্যে কালো ডিমের খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও সাংবাদিক আসেন। আজকেও কালো ডিম পেরেছে।