মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরে পুলিশ ও বি,এন,পি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়ীঘর সহ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ ২৪ জন কে আটক করেছে।বুধবার দিবাগত রাতে মুক্তারপুরে সাবেক উপমন্ত্রী ও জেলা বিএনপি সভাপতি আ: হাইয়ের ভাগ্নের ফেক্টরী সহ ৫ টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোটি টাকার সম্পদ পুঁড়ে গেছে বলে দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২ টি মামলা করলেও আসামীর সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত কালের ঘটনার জেরে পঞ্চসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মিরেশ্বর গ্রামের বিএনপি’র নেতা নিজামউদ্দিন মেম্বারের সুতার ফেক্টরী সহ পাচটিি পরিবারের বাড়ীঘর আগুন দিয়েছে দূবৃত্তরা।পুড়ে গেছে একটি কারখানাসহ তিনটি বসতঘর। কারখানার শ্রমিকরা জানান, রাত অনুমানিক ১টার দিকে হঠাৎ আগুন দেখতে পান তারা।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অগ্নিকান্ডের শিকার ঘর মালিকরা হলেন সাজেদা বেগম (৪৫) স¦ামী রমজান, স্বপন (৫০) পিতা পিতা হেলালউদ্দিন, মোকলেছ (৫০) পিতা চান শরিফ মাদব্বর, রেসিয়া বেগম, নয়নবিশ্বাস।
ফ্যাক্টোরির মালিক নিজাম মেম্বার জানান, পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফার ১৫/২০ জন লোকজন গভীর রাতে ঐ ফ্যাক্টোরিতে এই ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় মাসুদ (৪০) পিতা-জুলহাস, মুছা (৪১) পিতা মৃত সবুজ ও তোফাজ্জল (৪৩)। তিনি আরো জানান, দূবৃত্তদেও মধ্যে তিনজনের গায়ে পুলিশের পোশাক ছিলো।দূবৃত্তরা ফেক্টরিতে রাখা সুতা তৈরীর ২০ লক্ষ টাকার কাঁচা মাল লুট করে নিয়ে যায়।আগুন দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।ক্ষতিগ্রস্ত রমজান মিয়া জানান বিএনপির সাথে পুলিশের সংগর্ষ হলো আমরা বাড়ীতে ছিলাম। অথচ আমাদের ঘর পুড়লো। রেসিয়া বেগম বলেন রাতে হঠাৎ আগুন লাগায় ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন মতে জীবন বাচাই। আগুনে ঘেেরর সব পুড়ে গেছে।
পঞ্চসার ইউনিয়নের চেযারম্যান বলেন আমি বা আমার কোন লোকজন আগুনের ঘটনার সাথে জড়িত নই।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসার আবদুর রাকিব বলেন, মুন্সীগঞ্জ ও কমলাঘাট ২ টি ইউনিটের ১ ঘন্টা প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান আগুনের ঘটনার সাথে কোন পুলিশসদস্য জড়িত নাই।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা অফিসার ইনর্চাজ তারিকুজ্জামান বলেন, আমি অসুস্থ আছি, এই বিষয় কিছু বলতে পারবো না।
এদিকে গতকালের ঘটনায় আহত জেলা ছাত্র দলের কর্মী তারেকরহমান, মুক্তারপুর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী শাওন ও বিএনপি সমর্থক জাহাঙ্গীর আশংকাজনক আবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।