আরবেলা যুদ্ধ (খ্রিস্টপূর্ব ৩৩১) : মহাবীর আলেকজাণ্ডারের গ্রিক বাহিনীর হাতে তৃতীয় দরিউসের পারস্য বাহিনীর পরাজয় বরণ ও পারস্য জয়।
টিউটোবার্গ অরণ্যের যুদ্ধ (৯ খ্রিস্টাব্দ) : জার্মান উপজাতীয় প্রধান আর্মিনিয়াসের নেতৃত্বে তাদের সৈন্যরা রোমের তিন লিজিয়ন (প্রতি লিজিয়নে ৬ হাজার সৈন্য) ধ্বংস করে দিয়ে তাদের ভূখণ্ড দখলের রোমান পরিকল্পনা পণ্ড করে।
শ্যাঁলো-সার-মার্নে-এর যুদ্ধ (৪৫১) : ফ্ল্যাভিয়াস ইটিয়াস ও প্রথম থিয়োডোরিকের নেতৃত্বে রোমান ও ভিসিগথ বাহিনী আত্তিলার নেতৃত্বাধীন হুন সৈন্যদের পরাজিত করে পশ্চিমের প্রতি তাদের হুমকি খর্ব করে।
টুরস-এর যুদ্ধ (৭৩২) : শার্ল মার্ভেলের নেতৃত্বে ফ্রাঙ্করা আরবদের পরাজিত করে এবং পশ্চিম ইউরোপের দিকে মুসলমানদের অগ্রাভিযানের অবসান ঘটায়।
হেস্টিংস-এর যুদ্ধ (১০৬৬) : নরম্যান্ডির ডিউক উইলিয়াম ইংল্যা- আক্রমণ করেন এবং দ্বিতীয় হ্যারন্ডের নেতৃত্বাধীন স্যাক্সনদের পরাজিত করেন। এর ফলে ইংল্যান্ড নরম্যান শাসনাধীনে আসে।
অরলিন্স অবরোধ (১৪২৮-১৪২৯) : শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধের সময় ব্রিটিশবাহিনী এই অবরোধের সূচনা করে। জোন অব আর্ক-এর নেতৃত্বে ফরাসি সৈন্যরা অবরোধের অবসান ঘটায়। ফ্রান্স থেকে ইংল্যাণ্ডের শাসন অবসান ঘটানোর এটি ছিল একটি টানিং পয়েন্ট বা সন্ধিকাল।
কনস্টান্টিনোপল অবরোধ (১৪৫৩) : অটোমান তুর্কিবাহিনী শহরটি দখল করে নেয়। এর মধ্যদিয়ে বাইজেন্টাইন (পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে।
স্পেনীয় আর্মাডা (১৫৮৮) : স্পেনের তথাকথিত অপরাজেয় নৌবাহিনী শশাচনীয়ভাবে পরাজিত হয় ব্রিটিশ নৌবাহিনীর হাতে। এর মধ্যদিয়ে নস্যাৎ হয়ে যায় স্পেনের রাজা দ্বিতীয় ফিলিপের ইংল্যান্ড আক্রমণের প্রচেষ্টা।
নেসবির যুদ্ধ (১৬৪৫) : ইংল্যাণ্ডে স্যার টমাস ফেয়ারফ্যাক্সের নেতৃত্বে একটি পার্লামেন্টারি বাহিনী প্রিন্স রুপার্টের নেতৃত্বধীন রাজকীয় বাহিনীকে পরাজিত করে। এই পরাজয়ের ফলে রাজতন্ত্রের ক্ষমতা অনেকাংশে খর্ব হয়।
পোলতাভার যুদ্ধ (১৭০৯) : মহান পিটারের নেতৃত্বে রুশবাহিনী রাজা দ্বাদশ চার্লসের নেতৃত্বে আক্রমণকারী সুইডিশবাহিনীকে পরাজিত করে। এর ফলে বাল্টিক অঞ্চলে সুইডেনের আধিপত্যের অবসান ঘটে।
ইয়র্কটাউনের যুদ্ধ (১৭৮১) : চার্লস কর্নওয়ালিসের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সৈন্যদের একটি অংশ ফরাসি ও আমেরিকান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পনে বাধ্য হয়। এর মধ্যদিয়েই মূলত সমাপ্তি ঘটে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের।
ট্রাফলগার যুদ্ধ (১৮০৫) : হোরাশিও নেলসনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ নৌবাহিনী বিশাল ফ্র্যাঙ্কো-স্পেনিশ নৌবাহিনীকে পরাজিত করে। এর ফলে নেপোলিয়ানের ইংল্যা- আক্রমণের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যায়।
লাইপজিগের যুদ্ধ (১৮১৩) : অস্ট্রিয়া, প্রুশিয়া, রাশিয়া ও সুইডেনের সম্মিলিত বাহিনীর হাতে পরাজিত হয় ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ানের বাহিনী। এই পরাজয়ের মধ্যদিয়ে ইউরোপের ওপর নেপোলিয়নের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের অবসান ঘটে।
ওয়াটারলুর যুদ্ধ (১৮১৫) : ডিউক অব ওয়েলিংটনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ, ডাচ ও বেলজিয়ান বাহিনী, তাদের সহায়তায় প্রুশিয়ার সৈন্যরা এসে না পৌঁছানো পর্যন্ত, বিশাল ফরাসি বাহিনীর অগ্রাভিযান সফলভাবে প্রতিহত করে। এর ফলে নেপোলিয়নের ক্ষমতায় টিকে থাকার শেষ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
গেটিসবার্গের যুদ্ধ (১৮৬৩) : জর্জ মিডের নেতৃত্বে ইউনিয়ন বাহিনী রবার্ট ই লি’র নেতৃত্বাধীন কনফেডারেট বাহিনীকে পরাজিত করে। এটি ছিল আমেরিকার গৃহযুদ্ধের একটি টানিং পয়েন্ট।
মার্নের যুদ্ধ (১৯১৪) : ফরাসি ও ব্রিটিশবাহিনী জার্মানির ফ্রান্স আক্রমণ প্রতিহত করে। এর মধ্য দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দ্রুত বিজয় অর্জনের জার্মান স্বপ্ন ধুলায় মিশে যায়।
জাটলাণ্ডের যুদ্ধ (১৯১৬) : ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সঙ্গে জার্মান নৌবাহিনীর প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে উভয় পক্ষই বিজয় দাবি করে। কিন্তু এ যুদ্ধের পর জার্মান নৌবাহিনীর অস্তিত্ব আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিটেনে বিমান আক্রমণ (১৯৪০) : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি আড়াই হাজার জঙ্গি ও বোমারু বিমান নিয়ে ব্রিটেনের ওপর আক্রমণ চালায় একটানা ১১৪দিন। ব্রিটেনের অপেক্ষাকৃত দুর্বল বিমানবাহিনীকে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দিয়ে আকাশে একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তারই ছিল জার্মান আক্রমণের মূল লক্ষ্য। কিন্তু ছোট আকারের ব্রিটিশ বিমানবাহিনী অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায় জার্মান আক্রমণ প্রতিহত করে। এর ফলে ব্রিটেনে হিটলারের সর্বাত্মক হামলা চালানোর স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
এল আলামিনের যুদ্ধ (১৯৪২) : বার্নার্ড মন্টোগোমারির নেতৃত্বে ব্রিটিশবাহিনী রোমেলের নেতৃতাধীন জামানবাহিনীকে মিসর থেকে বিতাড়িত করে। এটা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি টার্নিং পয়েন্ট।
স্তালিনগ্রাদ অবরোধ (১৯৪২-৪৩) : জার্মানবাহিনী স্তালিনগ্রাদ (বর্তমান ভলগোগ্রাদ) দখলের চেষ্টা চালায়, কিন্তু সোভিয়েত লাল ফৌজের প্রবল প্রতিরোধের মুখে তাদের সে উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। সোভিয়েতবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে ফ্রিডরিখ ফন পলাসের নেতৃত্বাধীন ১ লাখেরও বেশি সৈনোর জার্মানবাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।
ইরম্যাভি আক্রমণ (১৯৪৪) : আইজেনহাওয়ারের নেতৃত্বে মার্কিন, ব্রিটিশ ও কানাডীয়বাহিনী জার্মান অধিকৃত ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে অবতরণ করে এবং একমাসব্যাপী প্রচণ্ড যুদ্ধের পর নরম্যাণ্ডিকে দখলমুক্ত করে।
লেতি উপসাগরের যুদ্ধ (১৯৪৪) : মার্কিন তৃতীয় ও সপ্তম নৌবহর জাপানি নৌবাহিনীকে পরাজিত করে। এর মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের নৌশক্তি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
নরম্যাভি আক্রমণ (১৯৪৪) : আইজেনহাওয়ারের নেতৃত্বে মার্কিন, ব্রিটিশ ও কানাডীয়বাহিনী জার্মান অধিকৃত ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে অবতরণ করে এবং একমাসব্যাপী প্রচণ্ড যুদ্ধের পর নরম্যাণ্ডিকে দখলমুক্ত করে।
লেতি উপসাগরের যুদ্ধ (১৯৪৪) : মার্কিন তৃতীয় ও সপ্তম নৌবহর জাপানি নৌবাহিনীকে পরাজিত করে। এর মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের নৌশক্তি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।