আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এরইমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা। নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডে এবার সদস্য পদে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন ফিরোজা খাতুন।
বাগমারা, মোহনপুর আর দূর্গাপুর উপজেলা নিয়ে সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন সর্বমোট ৭ জন। এর মধ্যে বাগমারায় ৫ জন, মোহনপুরে ১ জন এবং দূর্গাপুরে ১ জন। তবে ভোটের হিসেবে মোহনপুর ও দূর্গাপুর এই দুই উপজেলার চেয়ে অনেক বেশি ভোট রয়েছে বাগমারায়। ভোট বেশি হলেও প্রার্থী বেশি। তবে এরমধ্যে জনপ্রিয়, শিক্ষিত আর উন্নয়ন মুখী প্রার্থীকে বেছে নিবেন ভোটাররা। সে কারণে নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ের পাশাপাশি পারিবারিক ঐতিহ্য নিয়ে ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করছেন ফিরোজা খাতুন।
শুক্রবার বিকেলে বাগমারার গনিপুর, দুর্গাপুরের জয়নগর এবং নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী ফিরোজা খাতুন। এবারই প্রথম তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ফিরোজা খাতুনের বাড়ি বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নে। তিনি মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হকের স্ত্রী। স্বামী চেয়ারম্যান রেজাউল হক সহ ওই ইউনিয়নের সকল সদস্য সাথে নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটারদের সাথে দেখা করছেন এবং দোয়া চাইছেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, গনিপুর ইউনিয়নের সদস্য আকবর আলী মোল্লা, ইদ্রিস আলী, মিজানুর রহমান, একরামুল হক, ইন্তাজ আলী, আফরোজা বেগম, আবদুস সোবহান, নওপাড়া ইউনিয়নের সদস্য আবু সাইদ, রুবেল হক, ইসলাম প্রামানিক, রিফা বেদেনা বেগম, জয়নগর ইউনিয়নের আবদুল হান্নান প্রমুখ।
দলমত নির্বিশেষে ফিরোজা খাতুনকে সমর্থনের পাশাপাশি ভোট দিয়ে ২ নং ওয়ার্ডবাসীর সেবা করার সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানান ফিরোজা খাতুন।