পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও ট্রলির সংঘর্ষে দুটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে আহত মুক্তা বেগম (৪০) মারা গেছে। শনিবার রাত দেড়টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত টিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পথে মাওয়া এলাকায় সে মারা যায়।
এরআগে শনিবার দুপুরে দূর্ঘটনায় তার ছেলে জিহাদ (১০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দূর্ঘটনায় আহত নিহত শিশুর ভাই জুনায়েদ(১০), বোন মীম (১৩), দাদী জাহানারা বেগম(৬০) ও অটোচালক চালক নুর মোহাম্মদ(৪০) সহ অজ্ঞাত দুইজন। তারা বর্তমানে ঢাকা ও বরিশালে চিকিৎসাধীণ রয়েছে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে কলাপাড়ার চাপলী বাজার থেকে অটোরিক্সায় করে আট যাত্রী বালিয়াতলী আসার পথে অটো অটোরিক্সাটি মুসুল্লীয়াবাদ এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়াগতিতে আসা একটি খালি ট্রলি অটোটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় একশ ফুট পিছনে টেনে নিয়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে শিশু জিহাদ নিহত হয়। আহত হয় সাতজন। তাদের কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যায় মুক্তা বেগম। দূর্ঘটনায় তার দুটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম জানান, গতকালের দূর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রলিটি আটক করা হয়েছে। ট্রলি চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।