পঞ্চগড়ের করতোয়ায় ইঞ্জিন চালিত নৌবাহন দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক শোক বিবৃতিতে নৌপথ দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং নৌপথ দুর্ঘটনারোধে ৪ দাবি জানিয়েছে সেভ দ্য রোড। আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথ দুর্ঘটনামুক্ত রাখার লক্ষ্যে একমাত্র স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, শওকত হোসেন, আইয়ুব রানা, জিয়াউর রহমান জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল মল্লিক এক বিবৃতিতে বলেন, এটাই প্রথম নয়, এর আগে চলতি বছরেই এমন আরো ১১ টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর নৌমন্ত্রণালয় থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হলেও নৌপুলিশ, নৌপথ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারিরা তা আর যথাযথভাবে পালন করে না। যে কারণে নৌপথ থেকে যায় সবসময় আমাদের মত নদীমাতৃক দেশের সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর কারণ হিসেবেই। সেভ দ্য রোড এর নৌপথ দুর্ঘটনারোধে ৪ টি দাবি জানিয়েছে, তা হলো- ১. নৌপুলিশের প্রতিটি সদস্যকে স্ব স্ব দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে হবে, একই সাথে নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে অহরহ ইঞ্জিন চালিত বাহনগুলোর ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত। ২. সারাদেশে ২৪ হাজার ১৪০ কিলোমিটার জলরাশির ৩১০ টি নদীর মধ্যে এমন নদী পারাপারের ক্ষেত্রে সারাদেশে প্রয়োজন মাত্র ৩০২ টি আধুনিক নৌবাহন; রাষ্ট্রিয়ভাবে এই নৌবাহন চালু করতে হবে। ৩. নৌপথকে দুর্ঘটনামুক্ত করতে সর্বস্তরের জনসাধারণ, নৌবাহন চালক-শ্রমিকদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ার বা করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করার জন্য সরকারী- বেসরকারিভাবে সচেতনতা ক্যাম্পেইন অব্যাহত রাখতে হবে। এবং ৪. নদী দখলমুক্ত করতে হবে।
সেভ দ্য রোড মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মাননীয় নৌপ্রতিমন্ত্রী, নৌ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারি ও নৌ পুলিশ-এর উচিত হবে, অনতিবিলম্বে সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে ২৪ হাজার ১৪০ কিলোমিটার জলরাশির ৩১০ টি নদীর মধ্যে ৩০২ টি নৌপারাপার রুটে প্রস্তাবিত ৩০২ টি নৌবাহন চালু করা। প্রয়োজনে নৌকর্তৃপক্ষ সেভ দ্য রোড-এর পরিকল্পনা-সহায়তা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম হিসেবে আমাদের কাছ থেকে গ্রহণ করতে পারে। তাতে করে রাষ্ট্রের অতিরিক্ত অর্থ যেমন সঞ্চয় হবে, বাংলাদেশের মানুষ পাবে দুর্ঘটনামুক্ত নৌপথ, নৌপারাপারের সুযোগ। সেভ দ্য রোড গত ১৫ বছর ধরে বলে আসছে- পথ দুর্ঘটনায় আহতদের রাষ্ট্রিয় ব্যায়ে চিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় করতোয়ায় নিহতদের পরিবারকে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে সংশ্লিষ্টদের অন্যতম মানবিক দায়িত্ব।