বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের (গির্জার) প্রায় দুইস বছরের পুরাতন ভবন বিক্রীতে অনিয়ম ও চার্চের বেশকিছু মুল্যবান মালামাল সরিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে চার্চের সাবেক সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যপাওয়া গেছে। এ নিয়ে চার্চে দুটি গ্রুপে পরিনত হয়ে পরেছে। এলাকার জন মনে ক্ষোভের সৃষ্টি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজলার খ্রীষ্টান ধর্মাবল্বী আস্কর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের (গির্জা) ভবনটি অতিপুরাতন ১৮৩০ সালে নির্মিত। এখানে ধর্মালম্বি লোকজন ধর্মীও প্রার্থনা করার জন্য এইচার্চটি ভবন নির্মান করেছিলেন। সেই ভবনটি পুরাতণ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সকলে মিলে বিক্রিরজন্য সিধান্ত নেওয়া হয়। ভবনটি মূল্যছিলো প্রায় তিন লাখ টাকার অধীক। যাচাই বাছাই না করেই মন্ডলির সম্পাদক নিজে লাভ বান হয়ে, তার নিজ ক্ষমতায় এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্র করে দেয়। ওই ভবনের মাঝে থাকা মৌজার সিমানা পিলার ও প্রধান ফটকে মাটি থেকে চুড়াপযন্ত তামার দুটি রড যাহার কোন হদিশ নাই।
আস্কর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের বর্তমান সম্পাদক বিনোদ বাড়ৈ, সুশিল শাহর ছেলে সাগর শাহ ও দানিয়েল বিশ্বাশের ছেলে অসিম বিশ্বাস বলেন, ২০১৬ সালে চার্চের পুরাতন বিল্ডিংটি মেরামতের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আস্কর গ্রামের মিন্টু সরকার মথি এর পুত্র জন সরকার তৎকালিন আস্কর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সম্প্াদক, সহ-সম্প্াদক বেনজামিন অধিকারীর পুত্র ইসোহাক অধিকারী, পুরাতন বিল্ডিংটি গোপালগঞ্জ জেলার বাঁকা মিয়ার নিকট এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রয় করে। তৎকালিন সময়ে কোষাধ্যক্ষ লিটন সরকারের সাথে জন সরকারের মত বিরোধ হওয়ায় লিটন দায়ীত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে ছিলেন। এর পরে সুখরঞ্জন বাড়ৈর পুত্র জসিও বাড়ৈ কোষাধ্যক্ষের দায়ীত্ব গ্রহন করেন। চার্চের অন্যান্য সদস্যদের মতামত ছাড়াই পুরাতন ভবনের কিছু মূল্যবান জিনিস পত্র সম্পাদক জন সরকারের নেতৃতে নিয়েযায়।
এব্যাপারে ব্যাপ্টিস্ট চার্চের বরিশাল আঞ্চলিক সংঘের সভাপতি জেমস্ রিপন বাড়ৈ বলেন, এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। ওই সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না।
এব্যপারে অভিযুক্ত জন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, মন্ডলীর সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই ঝুঁকিপূর্ণ গির্জার ভবনটি বিক্রয় করা হয়েছে। আবার সেখানে নতুন ভবন নির্মন করা হয়েছে। আমার ব্যাপারে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সমস্থ অভিযোগ মিথ্যা।