জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বেদড়ক মারধরে শিমা নামে এক গহবধুকে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। সবামী জুয়েল রানা ও তার পরিবারেরর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর স্বামী জুযেলবানা ও তার পরিবোরর লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, দুই বছর আগে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নে ডোয়াইল গ্রামের মৃত নাজের আলীর ছেলে জুয়েল রানার সাথে ওই ইউনিয়নের চর বালিয়া গ্রামের সুরুজ ব্যাপারীর মেয়ে শিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর জুয়েল রানা তার বড় ভাবীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ ছিল। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে আবারও তাদের ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে স্বামী জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন শিমাকে মারধর করেন। এতে তার মৃত্যু হয়। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিমা বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছে বলে প্রচার চালায় জুয়েল ও তার পরিবার। পরে শিমাকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নবাব বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডোয়াইল কেন্দুয়া এলাকায় মেয়ের বাবা ও তার পরিবারের লোকজন লাশ দেখতে চান। এতে আপত্তি জানায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে ওই দুই পরিবারের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। পরে লাশ বাড়িতে রেখে জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন শিমা নামে এক গৃহবধুকে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে লাশ রেখে পালিয়ে গেছে।