নিম্নমানের তেল আমদানির কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে করে দেশজুড়ে লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানাকা রত্নায়েকে বলেন, যে জ্বালানি তেল পাঠানো হয়েছে তাতে অনেক বেশি সালফার ছিল। তবে দেশটির জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে জানানো হয়, গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কায় দৈনিক লোডশেডিং ছিল দিনে ৮০ মিনিট। তবে এই নিম্ন মানের তেলের কারণে উৎপাদন বন্ধ থাকায় লোড শেডিং বাড়িয়ে ১৪০ মিনিট করা হয়েছে। জানাকা রত্নায়েকে বিবিসিকে বলেছেন, জ্বালানি তেলে সালফারের পরিমাণ খুব বেশি, যা বর্তমান বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উপযুক্ত নয়। এটি পরিবেশগত মানগুলোর সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তিনি আরো বলেন, শোধনাগারের জন্য ভালো মানের অপরিশোধিত তেল কিনলে এই সমস্যাটি হতো না। দেশের বিদ্যুতের প্রায় ১০ শতাংশ ডিজেল এবং জ্বালানি তেল দিয়ে চলা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসে। বাকি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় হাইড্রো, নবায়নযোগ্য এবং কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। তবে রত্নায়েকের দাবির সঙ্গে একমত নয় শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্র পরিচালিত জ্বালানির খুচরা বিক্রেতা সেইলন পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। তাদের দাবি, একটি হাইড্রো পাওয়ার স্টেশন বিকল হওয়ার কারণে এবং ডিজেল ও জ্বালানি তেল কেনার বাজেট স্বল্পতার কারণে এটি হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা বিজেসেকারা যদিও তেল আমদানি নীতির পক্ষেই কথা বলেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, মূলত একটি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সমস্যার কারণেই এই লোডশেডিং বেড়েছে।