ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ২২টি মন্ডপে উদযাপন হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। মন্ডপগুলোতে তৈরি করা প্রতিমায় রঙের শেষ আঁচড় দিচ্ছেন কারিগরেরা। উপজেলার গফরগাঁও ও পাগলা থানাধীন ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে পূজা উদযাপনে চলছে জোর প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরির কারিগরেরা নিপূণ হাতের ছোঁয়ায় দেবী দূর্গা, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিকসহ নানা দেবদেবী তৈরি শেষ করে রঙের আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পৌর শহরের পন্ডিতপাড়া শ্রীশ্রী মঙ্গলচন্ডী যুব সংঘ এর উদ্যোগে শারদীয় দুর্গোৎসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কারিগর বগুড়া জেলার শেরপুরের সবুজ পাল। তিনি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে রঙের আঁচড় দিচ্ছেন। তিনি তার সহকর্মী সুব্রত পালকে নিয়ে প্রতিমার শেষ আঁচড়ে ব্যস্ত। তিনি আরও জানান, প্রতিমার মাটির প্রলেপ শেষ হওয়ার পর শুকানো হয়। প্রতিমা শুকানোর পর রং ও সাজানোর কাজ শেষ করে পূজারিদের কাছে বুঝিয়ে দেন। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই গোটা উপজেলায় উৎসবের আমেজ বইতে শুরু করেছে। বেড়েছে বিপণি বিতানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।
উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন ঘোষ বলেন, মন্ডপগুলোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিমা তৈরি কাজ শেষ করে চলছে প্রতিমা রং করা ও সাজানোর কাজ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এ দূর্গোৎসব সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার রায় বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে উপজেলার এ বছর পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ২২টি মন্ডপে দূর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনিল রায় বলেন, পূজামন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি উপজেলার ২২টি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা কাজ করবে।
এব্যাপরে গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ ও পাগলা থানার ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তরফ থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। কোনো প্রকার বিঘœ ঘটলেই সাথে সাথে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবিদুর রহমান বলেন, পূজা সুষ্ঠু সুন্দরভাবে এবং নির্বিঘেœ উদযাপনের জন্য আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।