রংপুরের তারাগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তার সীমার (২৪) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সিরাজুল ইসলামের নিজ বাড়ি লালমনিরহাট সদর থানার মাঝ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে শারমিনের পরিবার দাবি করছে সে আত্মহত্যা করেছে।
শারমিনের স্বামী কাইফুল ইসলাম বাঁধন ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলামের বাড়ি লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মাঝপাড়া গ্রামে। গত এক বছর আগে রংপুর এ সার্কেল অফিস থেকে তারাগঞ্জ থানায় যোগদান করেন সিরাজুল ইসলাম। তারাগঞ্জে যোগদানের পর তিনি তার মেয়ে শারমিনের সঙ্গে তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে কাইফুল ইসলাম বাঁধনের সাথে বিয়ে দেন। সোমবার সন্ধ্যায় ওসি তদন্ত সিরাজুলের নিজ বাড়িতে শারমিনের মৃত্যু হয়। শারমিনের পরিবারের দাবি শারমিন আত্মহত্যা করেছে।
জানতে চাইলে শারমিনের স্বামী কইফুল ইসলাম বাঁধন মুঠোফোনে বলেন, আমার স্ত্রী দুই মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন। ডাক্তার দেখানোর কথা বলে আমার স্ত্রীকে আমার শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তাকে গৃহবন্ধী করে রাখা হয়। মানুষিক যন্ত্রনা সইতে না পেরে আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করছে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লালমনীরহাটের ঘটনা আপনি জানলেন কিভাবে ? আমার মেয়ে শারমিন আত্মহত্যা করেছে। এখন ব্যস্ত, পরে কথা বলব।
তারাগঞ্জ থানার ওসি সুশান্ত কুমার জানান, আমরাও শুনেছি, ওসি তদন্ত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শারমিন আক্তার সীমা আত্মহত্যা করেছে।