গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বন বিভাগের কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ২০টি কয়লা তৈরির কারখানা গত মঙ্গলবার বিকালে গুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম গোলাম মোর্শেদ খান তরগাঁও ও বারিষাব ইউনিয়নে এ ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করেন।
জানা যায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে বিশাল বিশাল মাটির চুল্লি বানিয়ে বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছে একটি অসাধু চক্র। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় বিভিন্ন ধরণের বনজ ও ফলজ গাছ কেটে এসব অবৈধ চুল্লিতে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ এবং তা থেকে তৈরি হচ্ছে কয়লা। এসব চুল্লি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ ও জীব বৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন সময় এদের জরিমানা ও উচ্ছেদ করলেও কিছু দিনের মাঝেই অন্য এলাকায় গিয়ে তারা পুনরায় একই কাজ শুরু করে। অবৈধ কাঠের চুিল্লর বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ সরেজমিন প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল।
এ সকল অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের মাঝি বাড়ি এলাকার প্রত্যন্ত পল্লীতে কাউছারের মালিকানায় ৬টি অবৈধ কয়লা কারখানা এস্কেভেটর দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। বারিষাব ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুলের মালিকানাধীন ৮ টি চুল্লী। এবং গত সোমবার বেড়ারচালা গ্রামের ৬টি চুল্লী ভেঙ্গে ফেলা হয়। অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জ অফিসার মীর বজলুর রশীদ, গোসিঙ্গা বিট অফিসার মনিরুল ইসলাম ও কাপাসিয়া থানা পুলিশ।