রাজশাহীর পুঠিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টা। পরীক্ষা শেষে বাড়ী ফেরার পথে মোহনা খাতুন (২২) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি আশেপাশের লোকজন ছুটে আসতে দেখে অপহরণকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগি ওই পরীক্ষার্থী ও তার স্বামিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ঢাকাণ্ডরাজশাহী মহাসড়কের ঝলমলিয়া কোল্ড স্টোরেজ এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগি মোহনা খাতুন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মিঠুন হোসেনের স্ত্রী। ভুক্তভোগির স্বামি মিঠুন হোসেন বলেন, তিন বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর বাচ্চা হওয়া কারণে, আমার স্ত্রী কয়েক বছর পরীক্ষায় অংশ গ্রাহন করতে পাড়েনি। এ বছর সরিষাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় থেকে সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। আর পরীক্ষা কেন্দ্র হচ্ছে পুঠিয়া পিএন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। আর বুধবার ছিল শেষ পরীক্ষা। দুপুরে পরীক্ষা শেষে আমি তাকে নিয়ে ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলাম। সে সময়ে পথে ঝলমলিয়া বাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী কানাইপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি দল মাইক্রোবাস নিয়ে আমাদের পথ প্রতিরোধ করেন। তারা আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আমার স্ত্রীকে মাইক্রোবাসে তোলার চেষ্টা করে। এ সময় আমাদের চিৎকারে লোকজন ছুটে আসা দেখে, তারা ঘটনা স্থাল হতে পালিয়ে যায়। পরে লোকজন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। প্রত্যক্ষদশী আবদুস সালাম বলেন, কানাইপাড়া গ্রামের নাজমুলের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর থেকে এলাকায় চাঁদাবাজী, অপহরণ ও মেয়েদের যৌন হয়রানী করাসহ নানা অপর্কমের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বুধবার ওই গ্রুপের নাজমুল, কামরুল ইসলাম, শাজাহানসহ ৬-৭ জন যুবক একটি মেয়েকে ভ্যান থেকে টেনে নামায়। এ সময় তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে লোকজন দৌড়ে যাওয়া দেখে তারা একটি মাইক্রোবাস নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগি মোহনা খাতুন বলেন, পরীক্ষার শুরু থেকে নাজমুল এবং তার লোকজন আমাকে ফলো করছিল। যারকারণে আমি প্রতিটি পরীক্ষায় আমার স্বামিকে সঙ্গে নিয়ে আসতাম। আজ শেষ দিন তারা আমাকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে নাজমুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই মেয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে কিছু লোকজন ভুক্তভোগিকে অপহরণের চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের আটকের জন্য থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন।