প্রতি মাসে থানায় ৫০-৬০টি মামলা হলে অর্ধেক হয় মাদক মামলা। তাই মাদকের বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মাদক থেকে দুরে রাখতে আপনার সন্তানকে পাহারা দিন। তারা কখন কথায় যাচ্ছে, সন্তানের প্রতি লক্ষ রাখুন, তাহলে সন্তানরা মাদকে আসক্ত হতে পারবেনা। তাহলে আস্তে আস্তে মাদকের প্রবণতা কমে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর বাঘা থানার আয়োজনে বিকেল ৪টায় উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের পারসাওতা বিনোদপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, বাল্যবিবাহ, ডিজিটাল অপরাধ, হ্যাকিং ও সাম্প্রাদায়িকতা বিরোধী বিট পুলিশিং সমাবেশে এসব কথা বলেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ বিপিএম (বার)।
তিনি আরও বলেন, আগে কি হয়েছে জানিনা, বর্তমানে থানায় আর কোন দালাল নেই। এখন সেবা নিতে আসা মানুষ হয়রানির শিকার হয়না। অনায়াসে সেবা গ্রহণ করে। তবে মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই। সে যতবড়ই ব্যক্তি হোক না কেন। অন্যান্য পেশার পাশাপাশি পুলিশের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি রয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে কেউ অপরাধ করলে পুলিশের অবরাধটা বেশি প্রচার হয়।
আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। রাজশাহী বেতারের সংবাদ পাঠক ও উপস্থাপক আবদুর রোকন মাসুমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার পান্ডে, বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, উপজেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি ফাতেমা মাসুদ লতা, উপজেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার তাহফিকুর রহমান প্রমুখ।
রাজশাহী পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ যদি তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করে তাহলে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে এবং সমাজ থেকে মাদককে চিরতরে নির্মুল হবে। চাহিদা কমালে যোগান কমে। মাদক ব্যবসার গডফাদারদের ধরিয়ে দেন, তাহলে যোগান কমে যাবে। সামনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় উৎসব দুর্গা পুজা। পূজা উৎযাপনে কোন প্রকার গুজব না ছড়িয়ে পরস্পরকে সহায়তা করার আহবান জানান।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবতীসহ বাঘা, আড়ানী পৌর মেয়র, সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, ইমান, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আ.লীগ নেতাকর্মী।