শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে দিনাজপুররের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারে উপচেপড়া ভিড়। দু দেশের ইমিগ্রেশনে তিল পরিমান দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা ইমিগ্রেশনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এবার সনাতন ধর্মাম্বলী লোকজনের সংখ্যাই বেশি। শারদীয় দুর্গোৎসবের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে যাত্রী পারাপার ততই বাড়ছে। যাত্রী পারাপার আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা। যাত্রীদের পাসপোর্ট ছাড় করতে হিমসিম খাচ্ছে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কতৃপক্ষ।
একদিন পরেই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। শনিবার (১ অক্টোবর) মহাষষ্টীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে মুল আনুষ্ঠানিকতা। আর ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দূর্গোৎসব। সনাতন ধর্মাম্বলীদের মতে,এবার দূর্গা আসবেন হাতিতে চড়ে আর বিদায় নিবেন নৌকায় চড়ে।
ভারত থেকে দেশে আসা পাসপোর্ট যাত্রী জয়ন্ত চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশে প্রথম স্বপরিবারে আসলাম। যাবো নাটোরে পিসির বাড়িতে বেড়াতে। শুনেছি বাংলাদেশে খুব ভালো উৎসব হয় তাই পিসিদের নিমন্ত্রনে পুজো উৎসব পালন করার জন্য এসেছি। তিনি আরও জানান তার মতো অনেকেই এবার বাংলাদেশে আত্বিয়দের সাথে পুজো উৎসব পালন করার জন্য আসছেন।
বাংলাদেশ থেকে ভারতগম পাসপোর্ট যাত্রী রেখা রানী বলেন, কাকার বাড়িতে এবার পুজার আমন্ত্রণ পেয়ে দাদা ও মাকে সাথে নিয়ে এই প্রথম ভারতের বালুঘাটে যাচ্ছি। এবার ভারতের বিভিন্ন পুর্জা মন্ডব ঘুরে ঘুরে দেখবো ও আনন্দ করবো।
এদিকে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বেড়েছে দু’দেশে যাত্রী পারাপার। করোনা মহামারীর কারণে গেলো দুই বছর আসা-যাওয়া করতে না পারলে এবার আর সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চান না তারা।
পুজোয় আনন্দের পাশাপাশি দেখা-সাক্ষাত হবে স্বজনদের সাথে এমনটাই বলছেন যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীরা। এ ছাড়া অনেকে যাাচ্ছেন, চিকিৎসা, ভ্রমনসহ ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে। তবে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যাই বেশি। তাছাড়া ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছেন পুজোর পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করতে অনেক যাত্রী।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এর ওসি মো: বদিউজ্জামান বলেন,সনাতন ধর্মাম্বলীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা উপলক্ষে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। গেলো সপ্তাহে এই রুট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪শ জন যাতায়াত করলেও এখন সেই সংখ্যা প্রায় ৮০০ শতে দাঁড়িয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে যাত্রী পারাপার আরো বাড়তে পারে।