বর্ষা হলো ইলিশের ভরা মৌসুম। এসময়ই ধরা পড়ে ইলিশের বড় অংশটি।কিন্তু এবার ভরা বর্ষায় তেমনি একটা ইলিশ ধরা পড়েনি।ইলিশ আড়তদারদের মতে,সাগরে সিগন্যাল থাকায় মার গেছে কয়েকটা জোবা।
এখন ভরপুর ইলিশ মওসুমের শেষ সময়।আর এক সপ্তাহ পর শুরু হবে প্রধান প্রজনন মৌসুম। ওই সময় ২২দিন সারাদেশে নিষিদ্ধ থাকবে ইলিশ আহরণ ও ক্রয় বিক্রয়। তার আগেই বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে ইলিশ ধরা বেড়েছে। সেই সুবাদে
ইলিশের বাণিজ্যিক বন্দর হিসেবে খ্যাত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে এখন প্রচুর পরিমান বড় বড় ইলিশ চালান হচ্ছে। দাম কেজি হাজার টাকার উপরে।যা সাধারণ মানুষের কেনার সাধ্য নেই। গত দুই সপ্তাহ যাবত ঘাটে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার মণ ইলিশ আড়তগুলোতে ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। সরজমিন এমন তথ্য ঘাটে গিয়ে জানা যায়।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন,চাঁদপুর ইলিশের লানিং পয়েন্ট ইলিশের পোর্ট।নদী ও সাগর এলাকার সবদিকের ইলিশ এখানে আসে। সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন,এবারকার ইলিশ মৌসুম ভালো যায়নি। ইদানীং মাছের আমদানি কিছুটা বাড়লেও মন্দের ভালো লোকাল নদনদীর ইলিশ খুবই কম ধরা পড়ছে।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, যে ইলিশ এখন পাওয়া যাচ্ছে এগুলো মূলতঃ সাগর থেকে নদীর মোহনায় আসা ইলিশ।
আগে কেবল ডিম ছাড়ার সময় নদীর মোহনায় আসত ইলিশ।
কারণ অমাবস্যা ও পূর্ণিমা শুরুর আগের দুইদিন এবং পরের তিনদিন এই সময়ে নদীতে ও নদীর মোহনায় পানির প্রবাহ বেশি থাকে, যে কারণে সে সময়ে সাগর থেকে মাছ বেশি আসে এবং মাছের চলাচলও এ সময় বেশি থাকে।