আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ আদর্শ গ্রামে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জমি ঘর জবর দখল ও অন্যের কাছে হস্তান্তরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ফকরাবাদ আদর্শ গ্রামের মৃত শাহাজান সরদারের কন্যা রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে এবং ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা, মেম্বার ফারুক হোসেন সুপারিশকৃত আবেদনে জানাগেছে, বাদীর মাতা রহিমা বিবি ও ১নং বিবাদী জেরমান বিবি সরকারের নিকট থেকে ১৯৮৮ সালে আদর্শ গ্রামে জমি ও ঘর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পায়। দীর্ঘদিন বসবাসের পর রহিমা বিবি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসুযোগে বিবাদী জেসমিন তার জমিসহ রহিমার জমির কিছু অংশ জুড়ে ঘর তৈরি করে এবং ২নং বিবাদী ফকরাবাদ গ্রামের মৃত মোজাম গাজীর ছেলে মোস্তফার দু’টি পাকা বিল্ডিং থাকা স্বত্তেও তার কাছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করে দেয়। রহিমা সুস্থ হয়ে ফিরে সেখানে গেলে বিবাদীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাদের ঘরের অংশ সরিয়ে না নিয়ে জীবন নাশের হুমকী দেয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তাঁর নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ঘর ও জমি বিক্রয় না করতে বিবাদীকে নিষেধ করেন। কিন্তু সে নিষেধ অমান্য করে ১৩/১০/২১ তাং মোস্তফা গাজী একই গ্রামের ফিরোজা খাতুনের কাছে জমি বিক্রয় করে এবং তার সহযোগিদের নিয়ে ফিরোজা ঘরে উঠিয়ে দেয়া হয়। বাদী পক্ষ বাধা দিতে গেলে নানা হুমকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে হাকাইয়া দেয়। এ ব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে ইউএনও বরাবর আবেদন করা হয়েছে। গত ১৮ জুলাই ইউএনও আশাশুনি এসি (ল্যান্ড) আশাশুনিকে বিষয়টি দেখতে দায়িত্ব দিলেছেন। অদ্যাবধি প্রতিকার না পেয়ে স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত পরিবারটি চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত জমি ও ঘর অন্যরা বিক্রয় ও অবৈধ দখলের ঘটনা সকলকে হতাশ করে তুলেছে। এ ছাড়া একই আদর্শ গ্রামে কিনু গাজীর জমি ঘর আব্দুল্লাহ নামে একজনের কাছে বিক্রয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।