“বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই' স্লোগানকে সামনে রেখে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের পে কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদানসহ বেতন বৈষম্য নিরসন এবং ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালমনিরহাটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১২ টায় লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশনমোড় চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ১১-২০ তম গ্রেডের প্রায় শতাধিক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করে ৭ দফা দাবি জানান, এ সময় মানববন্ধনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ লালমনিরহাটের সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ মিজানুর রহমান, সাদি ফরহাদুর রহমান, পারভেজ আক্তার টপি(কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহ-সম্পাদক) প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যরা অন্যান্য সকল সরকারি কর্মচারীদেরও আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে সরকারকে অনুরোধ করে বলেন বেতন বৈষম্যসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধার বৈষম্য অনতিবিলম্বে কমিয়ে আনা হোক।
প্রস্তাবিত ৭ দফা দাবি নিম্নরুপ-
১,পে কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে।
২,১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন ভেল নির্ধারণসহ পে স্কেলে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
৩,সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে।
৪,টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন আচাইটি ১ টাকায় = ৫ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৫,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক ওই পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।
৬,ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে, অধনে আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এ ছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যদা দিতে হবে।
৭,বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পূণঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।