স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নবম পে-স্কেল ঘোষণা, এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন, টাইম স্কেল-সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে 'বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ'।
শনিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় ভিত্তিক সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে গঠিত জোট এর উদ্যোগে রংপুর নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন থেকে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। এতে রংপুর জেলায় বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সরকারের জাতীয় পে-স্কেল ভুক্ত ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা অংশ নেন।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও বৈষম্য কমেনি দাবি করে মানববন্ধনে সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের রংপুর জেলা সমন্বয়ক সেলিম রেজা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শোষণহীন বৈষম্য মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার। তাই তিনি কর্মচারীদের এই বৈষম্যের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সময় তিনি দাবি আদায়ের সাত দফা দাবি তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুল আবেদন জানান বক্তারা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদের জেলা সমন্বয়ক আবদুর রশিদ ও সেলিম রেজা, সদসদ্য আবদুল মালেক, আলমগীর হোসেন, আশরাফুল ইসলাম (বেতার), আশরাফুল ইসলাম (মৎস্য), রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সাত দফা দাবি সমূহ; ১. পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্য মুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে। ২. ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী দশ ধাপে বেতন স্কেল পুনর নির্ধারণ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। ৩. সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তর ও সায়োত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে। ৪. টাইমে স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুটি। আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ করতে হবে। ৫. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সরকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে দশম গ্রেডে উন্নতি করন। ৬. ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেট প্রদান করতে হবে, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এছাড়াও টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে। ৭. বাজার মূল্যের উদ্যোগ গতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুন:নির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।