নাকের প্রধান কাজ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। কিন্তু নাক দিয়ে রক্ত পড়া বেশ ভয় লাগার মতো বিষয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়াকে বলা হয় এপিষ্ট্যাক্সিস। মূলত দশ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়।
যদিও তেমন বিশেষ কোনো কারণ থাকে না। তবুও আচমকা নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করলে ভয় লাগাটা স্বাভাবিক।
এপিষ্ট্যাক্সিস
নাকের প্রধান কাজ হচ্ছে ঘ্রাণ বা শ্বাস নেওয়া। নাকের ভেতরে ছোট ছোট রিসেপ্টর বা কোষ নাকের ভেতরে গন্ধের অনুভূতির সৃষ্টি করে। যার সাহায্যে কোনটা সুগন্ধ আর কোনটা দুর্গন্ধ, আমরা বুঝতে পারি। আমরা প্রাণ ভরে শ্বাসও নিতে পারি। হঠাৎ করেই অনেক সময় শিশুদের বা বড়দের কাজ করতে গিয়ে হুট করেই নাক দিয়ে পানির রক্ত পড়ছে। কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। নাক দিয়ে রক্ত পড়াকে বলা হয় এপিস্ট্যাক্সিস। এটি কোনো রোগ নয়। আমাদের নাকের ভিতরটা খুব সংবেদনশীল। অনেক ছোট ছোট শিরা-উপশিরা দিয়ে ভর্তি। ফলে অল্পেতেই বেশি আঘাত লেগে যেতে পারে। আর সেই কারণেই নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। আরো কিছু বিষয় যেমন,
** নাক শুকিয়ে গেলে।
** অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পড়লে বা ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মধ্যে থাকলে নাক ফেটে গিয়ে রক্ত পড়তে পারে।
** নাক ঝাড়ার সময় বেশি জোর দিলে।
**পুঁতি, রাবারের টুকরো, ডাল, চাল ইত্যাদি বাচ্চারা খেলতে খেলতে নাকে ঢুকিয়ে ফেললে।
** ফাংগাল ইনফেকশন।
**টিউমার।
**পলিপ।
আচমকা এভাবে রক্ত পড়তে শুরু করলে যা করতে পারেন:
** যদি প্রায়ই নাক দিয়ে রক্ত পড়ে তাহলে নাকে ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখুন।
** শিশু বা বড়রা নখ ছোট করে কেটে রাখুন। নাকের ভিতর যেন নখ দিয়ে আঘাত না লাগে।
** শীতকালে কোথাও বেড়াতে গেলে আগে থেকে নাকে ক্রিম লাগিয়ে রাখুন।
** নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। বেশি বেশি পানি পান করুন। রোজ ৮-১০ গ্লাস পানি খান নিয়ম করে।
** নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করলে নাকের নরম জায়গাটা চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। ভুলেও শুয়ে পড়বেন না। সোজা হয়ে বসে থাকুন। মুখ দিয়ে শ্বাস নিন। এবং কপালে ঠাণ্ডা কিছু লাগাতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
** নাকের রক্ত গিয়ে যদি গলায় আটকায় সেটা না গিলে থুতু করে ফেলে দিন।
** পাঁচ মিনিট নাকের নরম জায়গা ধরে রাখুন। এতে রক্ত পড়ে যাওয়া কমা উচিত। না কমলে যেদিক দিয়ে রক্ত পড়ছে তার উল্টো দিক চেপে রাখুন হালকা করে। তাতেও রক্ত পড়া বন্ধ না হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
** নাক থেকে রক্ত ভয় পাবেন না। মানসিক চাপে প্রেসার বেড়ে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই শান্ত থাকুন। পরিস্থিতি খারাপ বুঝে চিকিৎসকের কাছে যান। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।