আর্জেন্টিনার হয়ে দুর্দান্ত ফর্ম লিওনেল মেসি বয়ে আনলেন ক্লাব ফুটবলে। আবারও ফ্রি-কিকে করলেন চমৎকার গোল। তারপরও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল পিএসজি। বদলি নেমে ব্যবধান গড়ে দিলেন কিলিয়ান এমবাপে। নিসকে হারিয়ে লিগ ওয়ানের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ফিরল চ্যাম্পিয়নরা। প্যারিসে নিজেদের মাঠে শনিবার রাতে লিগ ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। আক্রমণভাগে মেসি ও নেইমারের সঙ্গে এই ম্যাচে শুরুর একাদশে সুযোগ পান ফরাসি স্ট্রাইকার উগো একিতিকে। এমবাপেকে রাখা হয় বেঞ্চে। বল দখলে পিএসজি এগিয়ে থাকলেও শুরুতে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কেউই। অবশেষে ২৮তম মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন মেসি। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফ্রি-কিকে আর্জেন্টাইন তারকার বাঁ পায়ের শট রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে কোনাকুনি জালে জড়ায়। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক কাসপের স্মাইকেলের। মেসি নিজেই ফাউলের শিকার হলে ফ্রি-কিকটি পেয়েছিল পিএসজি। ক্রীড়ার পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা অপটার তথ্য অনুযায়ী, সরাসরি ফ্রি-কিকে মেসির গোলের সংখ্যা হলো ৬০টি, পিএসজির হয়ে প্রথম। বার্সেলোনার হয়ে ৫০টি ও আর্জেন্টিনার জার্সিতে আছে ৯টি। গত বুধবার জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষেও নিজের দুই গোলের একটি ফ্রি-কিকে করেছিলেন মেসি। সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে আর্জেন্টিনার দুই প্রীতি ম্যাচেই দুটি করে গোল করেন তিনি। বার্সেলোনার সঙ্গে প্রায় দুই যুগের সম্পর্ক চুকিয়ে গত মৌসুমে পিএসজিতে যোগ দিয়ে লিগ ওয়ানে ২৬ ম্যাচে কেবল ৬ গোল করতে পেরেছিলেন মেসি। এই মৌসুমে লিগে সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার ৫ গোল হয়ে গেল ৯ ম্যাচেই। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ৭টি। ৩৭তম মিনিটে আরেকটি ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। এবার নেইমারের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। বিরতির আগে বক্সের বাইরে থেকে মেসির শটে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান স্মাইকেল। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে সমতা ফেরায় নিস। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাস ছয় গজ বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড লাবোর্দে। ৫৯তম মিনিটে একিতিকে-কে তুলে এমবাপেকে নামান পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে। লিড পুনরুদ্ধারে নিসের ওপর চাপ বাড়ায় পিএসজি। ৭০তম দারুণ একটি সুযোগ পান দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা নুনো মেন্দেস। মেসির পাস ডি-বক্সে ভালো পজিশনে পেয়েছিলেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার, সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক। কিন্তু তার শট এগিয়ে এসে রুখে দেন স্মাইকেল। আসরে দ্বিতীয়বার পয়েন্ট হারানোর চোখ রাঙানি যখন পিএসজির সামনে, ত্রাতা হয়ে আসেন এমবাপে। নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট বাকি থাকতে জয়সূচক গোলটি করেন তিনি। বক্সে স্বদেশি ডিফেন্ডার নর্দি মুকিয়েলের পাসে প্রথম স্পর্শে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। আসরে আট ম্যাচে ৮ গোল করে নেইমারের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন এমবাপে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০ ম্যাচে তার গোল হলো ১১টি। ৯ ম্যাচে আট জয় ও এক ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ২৫। সমান ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে মার্সেই। ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে আছে নিস।