“আপনার চোখকে ভালোবাসুন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ নরসিংদীতে পালিত হয়েছে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সকালে নরসিংদী সিভিল সার্জন অফিস ও ঢাকা প্রোগেসিভ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিভিল সার্জন ডা: মো: নুরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ইনক্লুসিভ আই কেয়ার প্রোগ্রামের সহযোগিতায় সাইটসেভার্সের অর্থায়নে র্যালী শেষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যারয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা প্রোগ্রেসিভ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের ইনক্লোশন কর্মকর্তা আ: রহিম, সিনিয়র স্টাফ নার্স মনিরা বেগমসহ আরো অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ নিবারণযোগ্য অন্ধত্বের শিকার। এ ছাড়া দৃষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি। চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতি মিনিটে ১২ জন মানুষ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে ৭৫ লাখেরও বেশি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শিশু। বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতার প্রধান কারণ ছানিজনিত। দেশে বছরে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অন্ধত্বজনিত ছানির রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এদিকে ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী নরসিংদীতে প্রায় সারে ২২ লাখ জনগোষ্ঠি। এরমধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২০১৩ সালের জরিপ অনুযায়ী নরসিংদীতে শুধুমাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজারের মতো। জেলার এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠির জন্য সরকারীভাবে সেবা পাওয়ার জন্য নেই কোন বিশেষ হাসপাতাল। এ ছাড়া জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রায় একযুগ ধরে নেই চোখের সেবা দেয়ার মতো কোনো চিকিৎসকও। যারফলে সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার এই বিপুল সংখ্যাক জনগোষ্ঠি।
যাদের বয়স ৪০ এর উপড়ে তারাই বেশী চক্ষু সমস্যায় ভোগে থাকে। আর তাই ছানি পড়লে তাদের অপারেশন করা না হলে জীবনের জন্য অন্ধত্ব বরণ করতে হবে। তাই নিয়মিত চোখের পরিচর্যা নিতে হবে।