ভোলার দৌলতখান খায়ের হাটের গংগাপুর লঞ্চঘাট থেকে বোরহানউদ্দিন - ঢাকা রুটের এমভি আসাযাওয়া লঞ্চ থেকে নিখোঁজের ৬দিন পর অবশেষে ৩ সন্তানের জননীর লাশের সন্ধান মেলল বরিশালের বাখেরগঞ্জে। বৃহস্পতিবার বিকালে লাশ পাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ৩ সন্তানের জননী নিখোঁজ রোকেয়া বেগমের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা। জানা যায়, বুধবার তেতুলিয়া নদীর সংযোগ বরিশালের বাকেরগঞ্জের একটি খালে লাশের খবর শুনে ছুটে যান তার আত্মীয় স্বজনরা। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়ি ভোলার দৌলতখান উপজেলার পশ্চিম জয়নগর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে। ৩ সন্তানের জননী নিহত রোকেয়া বেগমের স্বামী শাহজাহান জানায়, গত ১৪ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বোরহানউদ্দিন টু ঢাকা রূটের এম ভি আসাযাওয়া লঞ্চে খায়ের হাট সংলগ্ন গংগাপুর ঘাট থেকে রওয়ানা হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন রোকেয়া বেগম। তার ছেলে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা জানান, ধুলিয়া মাঝির ঘাট লেঙ্গুটিয়া পৌঁছা পর্যন্ত আমার মায়ের সাথে আমাদের যোগাযোগ ছিল। রাত আনুমানিক ৯ টার পর থেকে তার সাথে থাকা মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আমাদের আত্মীয়স্বজনরা লঞ্চে তার খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার সাথে থাকা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লঞ্চের মেঝেতে পাওয়া যায়। রোকেয়া নিখোঁজের বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তারা এই ব্যপারে কিছুই জানেন না বলে জানায়। বহু খোজঁ করেও নিখোঁজ রোকেয়ার সন্ধান না পাওয়ায় তাৎক্ষণিক দৌলতখান থানায় ১ টি জিডি করা হয়।
দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়। অবশেষে লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।