ভোলার দৌলতখানে জমি জমার বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার বাদিকে ফাঁসাতে ঘর পোড়া মামলা দিয়েছে প্রতিপক্ষ।
জানা যায়, দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন সর্দার আলী বেপারী বাড়ীর দরজার দোকানে কেরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষ আইনুর গংরা গত ৮ অক্টোবর মন্নানের ছেলে ইব্রাহিমসহ আরও চারজনকে কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় ইব্রাহিম বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার পরবর্তীতে পুলিশ এজারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
অপরদিকে সংঘর্ষের আট দিন পর ১৬ই আক্টোবর মাইনুর নাহার ভোলায় আদালতে ইব্রাহিম গংদের বিরুদ্ধে ঘর পোড়া মারপিট ও লুটপাটের মামলা করেন। মামলায় তালাকপ্রাপ্ত মাইনুর স্বামী জসিমকে মৃত দেখিয়ে সহানুভূতি পাওয়ার আশায় প্রতারণার আশ্রয় নেয়।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ১০ টায় আলমগীরের দোকানে কেরামবোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার ওই দিন মাইনুর নাহার গংদের ঘরে অগ্নিসংযোগ মারামারি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। অগ্নিসংযোগ মারামারি ও লুটপাট সেই দিন কেউ দেখে নাই। ঘরে আগুনে পোড়ার আলামত পাওয়া যায়নি। ঘরের আসবাবপত্র সুসজ্জিত অবস্থায় ছিল। মারপিট ও ভাঙচুরের কোন আলামত ও দেখা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগাযোগ করলে তারাও এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।