প্রায় ১০০ ইলিয়ন কোষে তৈরি মস্তিস্কের ব্যবহার যত বেশি এর কার্যকারিতাও তত বেশি। মস্তিস্ক ব্যবহার করেই সব কাজ করা হয়। এর মধ্যে কিছু অভ্যাসও মস্তিস্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অনেক সময় কিছু অভ্যাসে মস্তিস্কের ক্ষতি হয়। স্মৃতিভ্রংশ কিংবা আলঝেইমার এর মতো রোগের আশঙ্কা বাড়ে।কি সেই বদভ্যাস? চলুন জেনে নেই:
অন্ধকার ভালো লাগে?
অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস ভালো কিছু নয়। বেশি অন্ধকারে থাকলে বিষন্নতার পাশাপাশি মস্তিস্ক ধিরগতিতে কাজ করে। ঠিক এই কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যা এত বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে বেশি থাকলে মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়ে।খবরের শিরোনামে আটকে চোখ
অতিরিক্ত নেতিচিবাচক খবরের প্রতি আমাদের অস্বাভাবিক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এই নেতিবাচক খবর মনের পাশাপাশি মস্তিস্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
উচ্চশব্দে গান
বাসায় সাউন্ড সিস্টেম কিংবা ফোনে ফুল সাউন্ডে গান শোনার বাতিক আছে অনেকেরই। এমনটা শ্রবণশক্তির ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মস্তিস্কেরও ক্ষতি করে। উচ্চশব্দের কম্পাঙ্ক ব্রেনের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে জানা গেছে। তাই গান শোনার সময় কম সাউন্ড রাখবেন। বিশেষত নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন ব্যবহার করুন তাতে সাউন্ড বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে না। মোবাইলই সার্বক্ষণিক সঙ্গী স্ক্রিন টাইম চোখের পাশাপাশি মস্তিস্কেরও ক্ষতি করে। এভাবে মোবাইলে ডুবে থাকা মানে আপনি একা একা বেশি থাকছেন এবং কথা কম বলছেন। এভাবে মস্তিস্কের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়ে।
মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাচ্ছেন কি? অতিরিক্ত চিনি কিংবা জাঙ্ক ফুড মস্তিস্কের কার্যকর অংশসমূহকে সংকুচিত করে ফেলে। তাই মস্তিস্কের ক্ষয় রোধ করে এমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।ব্যায়াম না করা
শরীরচর্চা করলে মস্তিস্কও কার্যকর থাকে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ কর্মক্ষম থাকলে মস্তিস্ক অলস থাকে না। অথচ ব্যায়াম না করলে ডিমনেসিয়া সহ অন্যান্য অনেক শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
ঘুম আসে না
কাজের চাপে ঘুমের দিকে মনোযোগ দেওয়া সম্ভবই না। এভাবে কিন্তু মস্তিস্কেরও ক্ষতি হয়। দিনে আট ঘণ্টা ঘুম স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মস্তিস্কের জন্যেও ভাল।