সভায় জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. এস এম কবির হাসানসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ৮টি উপজেলার প্রায় ৫০ টি চোট বড় চরের বাসিন্দাদের মধ্যে মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার বার্তা দেয়া হয়েছে। সকল জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সিপিসি কর্মীদের প্র¯‘ত থাকতে বলা হয়েছে। উপকুলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ১৩০ টি আষ্ট্রয় কেন্দ্য প্র¯‘ত রাখতে উপরো নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। এছাড়াও জরুরী খাদ্য সংকটে জেলায় পর্যপ্তি শুকনো খাবার, চাল ও নগদ টাকা প্র¯‘ত রাখতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
জেলায় ৭০৩ টি সাইক্লোন সেল্টার ২৬ টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গৃহপালিত প্রাণীদের জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দূর্যোগের সময় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫ শত নগদ টাকা এবং ৩ শ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া সরকারের কাছ থেকে ২৫ লাখ নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাটেক সুকনো খাবার সরকারের কাছে চাহিদা পত্র দাখিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭২ টি মেডিকেল দল গঠন করা হয়েছে।
সিত্রাং এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠছে। রোববার সকাল থেকে উপকূলের বেশিরভাগ এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নিম্নচাপটি আজ সকাল ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করছিলো। এটি আরো ঘনীভূত হতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা সহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।