ভাষা সৈনিক কমরেড আবদুল মতিনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতি-সত্তার ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি রাষ্ট্রভাষা বাংলাকে। প্রাণের বিনিময়ে ভাষা অর্জন বাঙালি জীবনের গৌরব ও চেতনার প্রতীক। মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে পৃথিবীতে যে সকল আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৫২ সালে বাঙালির ভাষা আন্দোলন শ্রেষ্ঠতম। যে কারণে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মর্যাদায় ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
এই ভাষা আন্দোলনের জন্য যিনি বিরামহীন সংগ্রাম করে গেছেন তিনি হলেন ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন। আমাদের জাতীয় জীবনে মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের অবিস্মরণীয় ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিদগ্ধ ভাষা সংগ্রামী আবদুল মতিন।
আজ ৮ অক্টোবর ভাষা সংগ্রামের এই বীর সন্তানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। আবদুল মতিন ২০১৪ সালের এইদিন সকাল ৯টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে দীর্ঘদিন তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার ধুবুলিয়া গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। বাবা ছিলেন একজন কৃষক। মতিন ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান। জন্মের পর তাঁর ডাক নাম ছিল গেদু। বর্ণমালার হাতেখড়ি মা-বাবার কাছেই।
১৯৩০ সালে গ্রামের বাড়ি যমুনার ভাঙনে ভেঙ্গে গেলে আবদুল জলিল জীবিকার সন্ধানে ভারতের দার্জিলিং এ চলে যান। সেখানে জালাপাহারের ক্যান্টনমেন্টে সুপারভাইস স্টাফ হিসেবে একটি চাকরি পেয়ে যান। ১৯৩২ সালে আবদুল মতিন শিশু শ্রেণিতে দার্জিলিং-এর বাংলা মিডিয়াম স্কুল মহারাণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন এবং তখন সেখানেই তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়।
১৯৩৩ সালে আবদুল মতিনের মাত্র ৮ বছর বয়সে তার মা অ্যাকলেমশিয়া রোগে মারা যান। শিশু মতিন মহারানী গার্লস স্কুলে ৪র্থ শ্রেণী পাশ করলে ১৯৩৬ সালে তাকে দার্জিলিং গভর্মেন্ট হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। তিনি ১৯৪৩ সালে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা) পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।
ওই বছরই রাজশাহী গভর্মেন্ট কলেজে ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষে ভর্তি হন আবদুল মতিন। ২ বছর পর ১৯৪৫ সালে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে আবদুল মতিন ব্রিটিশ আর্মির কমিশন র্যাঙ্কে ভর্তি পরীক্ষা দেন। দৈহিক আকৃতি, উচ্চতা, আত্মবিশ্বাস আর সাহসিকতার বলে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কমিশন পান। এরপর তিনি কলকাতা থেকে ব্যাঙ্গালোর গিয়ে পৌঁছান। কিন্তু ততদিনে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। ফলে তিনি একটি সার্টিফিকেট নিয়ে আবার দেশে ফিরে আসেন।
দেশে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৪৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব আর্টসে (পাস কোর্স) ভর্তি হন। ফজলুল হক হলে তাঁর সিট হয়। ১৯৪৭ সালে গ্র্যাজুয়েশন কোর্স শেষ করেন এবং পরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা ছিল উত্তাল। একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সারাদেশে আন্দোলনের প্রস্তুতি দিবস।
ওই দিন সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিমনেসিয়াম মাঠের পাশে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত) গেটের পাশে ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত শুরু হতে থাকে। সকাল ১১টায় কাজী গোলাম মাহবুব, অলি আহাদ, আবদুল মতিন, গাজীউল হক প্রমুখের উপস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মনোনীত হয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেন।
এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি পাকিস্থান সরকার ভাষা আন্দোলনের প্রস্তুতিকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য ঢাকাতে সমাবেশ, মিছিল-মিটিংয়ের উপর ১৪৪ ধারা জারি করে। এই ১৪৪ ধারা ভাঙা হবে কিনা- এই নিয়ে ছাত্র-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড.এস.এম. হোসেইন এর নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষক সমাবেশ স্থলে যান এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার জন্য ছাত্রদের অনুরোধ করেন।
বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় ধরে আলোচনা হয়। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে আবদুল মতিন এবং গাজীউল হকের নেতৃত্বে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম কমিটি’ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে মত দেয়। কিন্তু সর্বদলীয় সমাবেশ থেকে সেখানকার নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন কমরেড আবদুল মতিন।
২১শে ফেব্রুয়ারি উপস্থিত সাধারণ ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং মিছিল নিয়ে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের অন্তর্গত) দিকে যাবার উদ্যোগ নেয়। এই সময় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়।
শ্লোগানে শ্লোগানে কেঁপে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পুলিশ লাঠিচার্জ এবং গুলি বর্ষণ শুরু করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই আবুল বরকত (ঢাবি এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান এর মাস্টার্সের ছাত্র), রফিক উদ্দীন, এবং আবদুল জব্বার নামের তিন তরুণ মারা যায়। পাশাপাশি নাম না জানা আরও অনেকের সাথে সালামও সেদিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তিনিও মারা যান। এমনিভাবে বাংলার দামাল ছেলেদের প্রাণ বলিদানের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় আমাদের প্রাণের বাংলা ভাষা।
ভাষা আন্দোলনের পর আবদুল মতিন ছাত্র ইউনিয়ন গঠনে ভূমিকা রাখেন এবং পরে সংগঠনটির সভাপতি হন। এরপর কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় হন। ১৯৫৪ সালে পাবনা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক হন আবদুল মতিন। মওলানা ভাসানী ন্যাপ গঠন করলে তিনি ১৯৫৭ সালে তাতে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালে তিনি পাবনা জেলাকে ভিত্তি করে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল)-এর ভেতরে আলাউদ্দিন আহমদকে নিয়ে এক উপদল গড়ে তোলেন। পরে তিনি দেবেন শিকদার, আবুল বাশার, আলাউদ্দিন আহমদ ও নুরুল হক চৌধুরীর সহায়তায় পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করেন।
টিপু বিশ্বাস, আলাউদ্দিন আহমদ ও তার নেতৃত্বে পাবনা জেলার জনগণ মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। চীনকে অনুসরণকারী বামপন্থি দলগুলোর নানা বিভাজনের মধ্যেও আবদুল মতিন সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ ও পরে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ গঠিত হলে আবদুল মতিন নবগঠিত বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ হন। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ ও রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করেন।
তিনি এই পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মনোনীত হন এবং আমৃত্যু তিনি এই পদে আসীন ছিলেন। ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের পাবনা জেলার চৌহালী থানার ওমরপুর ইউনিয়নের শৈলজানা গ্রামের দ্বিতীয় বাসস্থানটি যমুনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেলে পরবর্তীতে তিনি শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের লোহিন্দাকান্দী গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
পঞ্চাশের দশক থেকে আবদুল মতিনকে’ ভাষা মতিন’ বলে ডাকা শুরু হয়। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লেখক বদর উদ্দিন উমর, বশির আল হেলাল সহ আবুল কাশেম ফজলুল হক, হাবিবুর রহমান শেলী, মুস্তফা নুরুল ইসলাম, এম আর আখতার মুকুল, কে জি মুস্তফা তাদের লেখায় ‘ভাষা মতিন’ ব্যবহার করেন।
ভাষাসংগ্রামী কাজী গোলাম মাহবুব, মহবুব আনাম, আবদুল গফুর, হাসান ইকবাল, এম আর আখতার মুকুল, কে জি মুস্তফা, আলাউদ্দিন আল আজাদ প্রমুখ তারাও ‘ভাষা মতিন’ হিসেবে সম্বোধন করেন। যার কারণে এখন সকলের কাছে তিনি ভাষা মতিন হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন।
মৃত্যুর আগেই ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে মরণোত্তর দেহ ও সন্ধানীকে চক্ষু দান করে গেছেন। মৃত্যুর পর তার স্ত্রী গুলবদন নেসা আবদুল মতিনের মরণোত্তর দেহদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে দেহদানের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল, শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁর মরণোত্তর দেহটি গ্রহণ করে।
একুশে পদক প্রাপ্ত (২০০১) ভাষা আন্দোলনের বিপ্লবী এই সংগঠকের সাহিত্যকীর্তিও অনন্য। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ইউরোপের দেশে দেশে (১৯৬০), কাস্তে (১৯৮৭), স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রবাসী বাঙালি (১৯৮৯), প্রবাসীর দৃষ্টিতে বাংলাদেশ (১৯৯১), শামসুদ্দিন আবুল কালাম ও তার পত্রাবলী (১৯৯৮), শেখ হাসিনা: একটি রাজনৈতিক আলেখ্য (১৯৯২), স্মৃতিচারণ পাঁচ অধ্যায় (১৯৯৫), একটি বিশেষ অধ্যায় (২০১২), জেনেভায় বঙ্গবন্ধু (১৯৮৪), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: কয়েকটি প্রাসঙ্গিক বিষয় (১৯৯৩), খালেদা জিয়ার শাসনকাল: একটি পর্যালোচনা (১৯৯৭), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মুক্তিযুদ্ধের পর (১৯৯৯), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: কয়েকটি ঐতিহাসিক দলিল (২০০৮), বিজয় দিবসের পর: বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ (২০০৯), রোমের উত্থান ও পতন (১৯৯৫), মহানগরী লন্ডন (১৯৯৬), ক্লিওপেট্রা (২০০০), দ্বি-জাতি তত্ত্বের বিষবৃক্ষ (২০০১), ভলতেয়ার: একটি অনন্য জীবনকাহিনি (২০০২), কামাল আতাতুর্ক: আধুনিক তুরস্কের জনক (২০০৩), মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি: যুক্তরাজ্য (২০০৫) এবং ইউরোপের কথা ও কাহিনি (২০০৫, ২০০৭,২০০৯)
পুরস্কার ও সম্মাননা
ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনকে নানা সময় নানা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। সেগুলোর কয়েকটি উল্লেখ করা হলও।
দৈনিক জনকণ্ঠ গুণিজন ও প্রতিভা সম্মাননা ১৯৯৮ : পুরস্কারস্বরূপ ১ লক্ষ টাকা, প্রতিমাসে অণুদান ৫ হাজার টাকা,
প্রবাসী বাঙালীদের উদ্যোগে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সংবর্ধনা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০০,
একুশে পদক ২০০১,
বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেলোশিপ প্রদান, ২৮ ডিসেম্বর, ২০০১
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক সম্মাননা স্মারক, ২০০২,
ভাষা সৈনিক সম্মাননা পরিষদ, সিলেট কর্তৃক ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান, ২০০২,
আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার, ২০০৩,
জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃক উন্নয়ন অর্থনীতি স্বর্ণপদক ২০০৪, ১৩ আগস্ট, ২০০৪,
শেরে বাংলা জাতীয় পুরস্কার, ২০০৪
মুক্তিযুদ্ধ গণপরিষদ কর্তৃক সম্মাননা, ১৪ মে, ২০০৫
দৈনিক আমাদের সময় কর্তৃক সম্মাননা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪৪তম সমাবর্তন উপলক্ষে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক ‘ডক্টর অব ল’জ’ (সম্মানসূচক ডিগ্রি), ২০০৮,
ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার, ২০০৮,
একুশে টিভির পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা,
ভাষা সৈনিক চারণ সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহম্মদ স্মারক সম্মাননা, ২০১০,
ঢাকার ৪০০ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা রত্ন সম্মাননা, ২০১০,
মানবাধিকার ও পরিবেশ সোসাইটি (মাপসাস) কর্তৃক মাপসাস শান্তি পদক, ২০১০,
কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ পুরস্কার, ২০১০,
মহাত্মা গান্ধি পিস অ্যাওয়ার্ড, ২০১০,
দৈনিক কালের কণ্ঠের আজীবন সম্মানা পুরস্কার, ২০১০।
সৈয়দ আমিরুজ্জামান: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট; বিশেষ প্রতিনিধি, সাপ্তাহিক নতুনকথা; সম্পাদক, আরপি নিউজ; সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, মৌলভীবাজার জেলা; ‘৯০-এর মহান গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক