সদ্য সমাপ্ত হওয়া রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে জোর করে টাকা দিয়ে ভোট কিনে নির্বাচিত হওয়ার পর টাকা ফেরতের জন্য ইউপি সদস্যকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আলতাব হোসেন নামের এক জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে। সোমবার(৩১অক্টোবর) দুপুরে সুমি কমিউনিটি সেন্টারে নিজের নিরাপত্তা ও আইনি প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সংরক্ষিত সদস্য(৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড) মোরশেদা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের রাতে আমাকে জিম্মি করে তার প্রতিকে ভোট দিতে ৫০ হাজার টাকা দেন ২নং ওয়ার্ডের জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থী আলতাফ হোসেন। তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয় তার পর থেকে ওই টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিতে থাকেন।স্থানীয় বকুলতলা বাজারে সবার সামনে ওই টাকা না দেয়ায় লাঞ্ছিত ও হেনস্তার কথাও জানান জানান তিনি।
ইউপি সদস্য মোরশেদা বলেন, বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ওই টাকা ফেরত চান। টাকা না দিলে আমাকে নানাভাবে বেইজ্জতি ও মেরে ফেলার হুমকি দেন। আমি এখন জীবন নাশের শঙ্কায় আছি।
তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা, কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানায় একটি অভিযোগ দিলেও কোনো সুরাহা পাঁচ্ছি না। তাই আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মকবুল সালাম, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য ওবায়দুল হক, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুজ্জামান এবং ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য শেফালি বেগমের স্বামী নুরুজ্জামান।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য আলতাব হোসেনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এটি পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ। আমি তার কাছ থেকে ধারের এক লাখ টাকা চাইতে গেলে তিনি এ ধরনের বানোয়াট বানিয়ে সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে।