মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে নির্বাচনে জয় লাভের পর পরই পরাজিত প্রার্থী মাহবুব মিয়ার সমর্থকদের বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এদিকে এ ঘটনার পরের দিন ( বৃহস্পতিবার) সকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গতকাল (২ নভেম্বর) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন ছিল। উপনির্বাচনে ৬৯৯ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক। মিঠু জয়লাভ করার কিছুক্ষণ পরে আনন্দ মিছিল বের করে তার সমর্থকরা। মিছিল করে বাড়ি ফেরার পথে নতুনচর এলাকায় মিঠু সমর্থকরা হামলা চালায় পরাজিত (স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান) প্রার্থী মাহবুব মিয়ার সমর্থকদের বাড়িঘরে। এ সময় তারা আবদুল মজিদ বেপারী, রিয়াজ উদ্দিন, আবদুল হামিদ,শহীদ উল্লাহ, জাকির হোসেন বেপারী,ফরিদসহ মোট ছয়টি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ভুক্তভোগীরা জানায়, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করার সহ মোট ১০/১২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে তাদের। এই ঘটনায় তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।
এদিকে নির্বাচনের পরদিন ( বৃহস্পতিবার) সকালে বিজয়ী প্রার্থী মিঠুর সমর্থক তোতা মেম্বারের বাড়ির অদূরে গাছের ঝোপ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। একটি প্লাস্টিকের লাল রংয়ের বালটির ভেতর কাঠের গুড়ার মধ্যে এগুলো ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ককটেলগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী বলে অভিমত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর। নির্বাচনের দিন সহিংসতা করার উদ্দেশ্যে এগুলো এখানে মজুদ করে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা তাদের।
এ বিষয়ে মনিরুল হক মিঠুর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেন এ ঘটনায় তার কোন কর্মী সমর্থক জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় সাতটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে বলে শুনেছি তবে এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।