দেশে প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে বড় পরিসরে বসানো যাচ্ছে না সোলার প্ল্যান্ট। এ দাবি টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রডো)। তাদের মতে, এর উৎপাদন খরচ কম এবং অবকাঠামোগত সুবিধার কমতি না থাকা সত্ত্বেও দেশে পূরণ হয়নি পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য। জীবাশ্ম জ্বালানি বা তেল, গ্যাস ও কয়লার মাধ্যমে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বর্তমানে ২৫ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াট। বিপরীতে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৯১২ মেগাওয়াট। যা মোট উৎপাদনের ৪ শতাংশেরও কম। যদিও ২০২১ সালের মধ্যে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ যোগান দেয়ার কথা ছিল নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে। কিন্তু জীবাশ্ম শক্তির মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় অবহেলায় স্থবির এ খাত। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত বলেন, ফসিল ফুয়েল (জীবাশ্ম জ্বালানি) ক্রমাগত অনেক বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই তুলনায় সোলার উৎপাদন অতটা বাড়েনি। ফলে এখানে রেশিওটা আমরা ১০ শতাংশে আনতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জায়গার পরিমাণ অনেক কম; আর চাইলেই সব জায়গায় সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি না। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সোলার সিস্টেমটাই লক্ষণীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তারেক আলী সোমবার বলেন, ‘আমরা যদি সোলার সিস্টেমটাকে পুরোপুরি একটা প্ল্যানের আওতায় এনে আগাই তাহলে এই সোলার সেল বা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যথেষ্ট পরিমাণ নবায়নযোগ্য শক্তি পাব। আমাদের আসলে দ্রুতই এই ট্রানজেশন পেজে (রূপান্তর পর্ব) যেতে হবে। সারা বিশ্ব এখন ফসিল ফুয়েলের ওপর তাদের নির্ভরতা কমাচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে হাতিরঝিলসহ নগরীর অব্যবহৃত জায়গাগুলোতেও সোলার প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনার রয়েছে স্রডোর।