মোটরসাইকেল ক্রয়ের দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে শ্বশুড় বাড়ি এসে স্ত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন(২৩) ও শ্বশুড় নুর মোহাম্মদ (৪৫ কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জামাতা মো. সোহাগ (৩০) ও তার পিতার বিরুদ্ধে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতরা কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পিটিশন দাখিল করেছে।
গত ৮ নভেম্বর সুমাইয়া ইয়াসমীন বাদী হয়ে এ মামলার এজাহারে স্বামী মো. সোহাগ, শ্বশুড় মো. ইব্রাহিম (৫০), ননদ রাহিমা বেগম (৩৯) ও ননদের জামাই হাবিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সুম্ইায়ার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ নভেম্বর সন্ধা সাতটার দিকে শ্বশুড় বাড়ি এসে সোহাগ ও অভিযুক্তরা একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ টাকা না পেলে তার ১৫ মাস বয়সী শিশু সাবরিনসহ তাকে ঘরে তুলে নিবে না এবং কন্যা শিশুর পরিচয় দিবে না। এ নিয়ে উভয় পরিবারের কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহাগ স্ত্রী সুমাইয়ার গলাচিপে ধরে। এ সময় মেয়েকে রক্ষায় তার পিতা নুর মোহাম্মদ এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে। এ সময় ননদের জামাই তাকে কাপড় চোপড় টেনে শ্লীলতাহানি করে।
তিনি অভিযোগে আরও বলেন. ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর সোহাগের সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়েতে স্বর্ণালংকারসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল দেয়া হয়। কিন্তু সোহাগ বেকার থাকায় বিয়ের পর থেকেই তাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য মারধর করতো। কিন্তু পরিবারের সন্মানের কথা ভেবে বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়নি সুমাইয়া। এক পর্যায়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার স্বজনরা জামাতা সোহাগ কে একটি এনজিওতে চাকুরির ব্যবস্থা করে দেয়। সে সময়ও ৭৫ হাজার টাকা দেয়া হয় হাওলাদ বাবদ। কিন্তু চাকুরীর পর সে টাকা তো দেয়নি উল্টো সুমাইয়া ও সন্তানের খোঁজও নিতো না। সবশেষ গত ২৫ অক্টোবর শিশু সন্তাসসহ মোটরসাইকেল ক্রয়ের দুই লাখ টাকা চেয়ে স্ত্রী সুমাইয়াকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার বসা হলেও বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় গত ৪ নভেম্বর শ্বশুড় বাড়ি এসে সুমাইয়া ও তার পিতাকে মারধর করে সোহাগ ও তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে মো. সোহাগ ,মুঠোফোনে জানান, তিনি কোন যৌতুক দাবি করেন নি এবং তার স্ত্রী ও শ্বশুড়কে মারধর করেন নি। এটা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগন্ডা। উল্টো তাকে মারা হয়েছে।