বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ জনেরও বেশি কর্মীকে আটক করা হয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেন দলের দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। রিজভী বলেন, ‘সরকারের হীন মানসিকতার প্রকাশ ঘটছে প্রতিমুহূর্তে। বিএনপির গণসমাবেশগুলোতে জনগণের বিপুল সমাগম দেখে আওয়ামী প্রশাসন দমনের নীলনকশা অনুযায়ী কাজ করছে।’ তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চু, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, মো. শাহাদাত হোসেন, হাবিবুর রহমান শেখ ওরফে বাবুল, মো. চাঁন মিয়া সরদার, মিজানুর রহমান আকতার, মো. সবুজ, মণ্ডল হোসেন, সৈয়দ হেমায়েত উদ্দিন, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ মামুন, মো. রিমন মিয়া, মো. ফারুক, নুর মোহাম্মদ, রায়হান কবির, মো. আক্কাস আলী, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, মো. ফোরকান সরকার, বশির আহম্মেদ, মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মো. রুহুল আমিন, মো. সজীব, মো. আলমগীর হোসেন, মো. নোমান, মো. ফরহাদ আহম্মেদ, মো. মোশারফ, মো. ফারুক, মো. মিজানুর রহমান, মো. শরিফুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, মো. বিপ্লব ও মো. ইসরাফিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুবেল মিয়াকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।’ তিনি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান।