রাজশাহীর বাঘায় শিকল পরা অবস্থায় নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি মজিবর রহমান নামের এক মানষিক প্রতিবন্ধীর। ২৮ সেপ্টেম্বর কাউকে না জানিয়ে ভোর রাতে বাড়ি থেকে হয়ে আর ফিরে আসেনি। বিভিন্নস্থানে খোঁজ করে না পেয়ে তার ছেলে মিলন আহমেদ বাদী হয়ে সোমবার (১৪ নভেম্বর) থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন। মুজিবুর রহমান বাঘা পৌরসভার বলিহার গ্রামের মৃত আহামদ প্রামানিকের ছেলে।
জানা যায়, মুজিবুর রহমান (৫৫) দীর্ঘদিন থেকে মানুষিক রোগে ভূগছিলেন। তারপর থেকে এলাকায় মানুষের কাছে টাকা, খাবার, জামা কাপড় চাইতে শুরু করে। না দিলে বিভিন্ন ভাষায় খারাপ কথা বলে। পরিবারের লোকজন এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার কথা বলেও শুনেনা। নিরুপায় হয়ে তাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়। তারপর তার আনুতি-মিনতি ও অনুরোধের কারণে শিকল পরা অবস্থায় ছেড়ে রাখা হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর কাউকে না জানিয়ে ভোর রাতে বাড়ি থেকে হয়ে আর ফিরে আসেনি। মজিবর রহমানের উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি, মুখ মন্ডল লম্বাটে, গায়ের রং ফর্সা, মাথার চুল কাঁচা পাঁকা, দাঁড়ি পাঁকা, পরনে গেঞ্জি ও লুঙ্গি রয়েছে। তিনি পেশায় ছিলেন ভ্যান চালক।
মজিবর রহমানের ছেলে মিলন আহমেদ বলেন, বাবার মানুষিক সমস্যার কারণে কিছুদিন শিকলে তালা দিয়ে বেধে রাখা হয়েছিল। কিছুদিন পরে তার শারীরিক ও মানুষিক অবস্থা ভাল মনে হলে পায়ে শিকল দেওয়া অবস্থায় ছেড়ে রাখা হয়। পায়ে দেওয়া শিকলের অপর অংশ হাতে নিয়ে এলাকায় ঘুড়ে বেড়াতেন। আবার বাড়ি ফিরে আসতেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। কোন সুহৃদয় ব্যক্তি সন্ধান পেলে ০১৭২১-১৮৩৯৭৯ নম্বরে খোঁজ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড়ের কাউসিন্সল আবদুল সালাম বলেন, সাজদার নিখোঁজ হয়েছে। খোঁজাখুঁিজ চলছে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডাইরী হয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে।