মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেন্দী ইউনিয়নের চর বালাকী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবকের রামদার কুপে আরেক যুবক আহত হয়েছে। এদিকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করছে আহতের স্বজনরা।
আহতের নাম আওলাদ হোসেন (৩৪)। সে হোসেন্দী ইউনিয়নের চর বলাকী গ্রামের জুলহাস বেপারীর ছেলে বলে জানা গেছে।
আহত আওলাদ হোসেন বলেন, স্থানীয় খালেক বেপারী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তার বাবা টাকার বিনিময়ে এক বছরের জন্য একটি জমি ঘাস চাষের জন্য বর্গা নেন। তবে গতকাল (বুধবার) খালেক বেপারীর ছোট ছেলে মহসিন জমি চাষ করতে দিবে না বলে তার বাবাকে জানিয়ে দেয়। জমি আবাদ করতে না দিলে তিনি তার টাকা ফেরত চান, টাকা ফেরত দিতেও অস্বীকৃতি জানায় মহসিন। এদিকে আজ (১৭ নভেম্বর) সকালে সাড়ে সাতটার দিকে মেঘনা নদীতে হাত-মুখ ধুতে যাওয়ার পথে তার সাথে দেখা হয় মহসিনের। বিষয়টি নিয়ে মহসিনের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরে রামদা হাতে ফিরে আসে মহসিন এ সময় তার সাথে আরো ৫-৬ জন লোক ছিল। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ঘার লক্ষ্য করে রামদা দিয়ে কুপ মারে মহসিন তবে তিনি সরে যাওয়ায় তা তার বাম হাতে লাগে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশে লোকজন ছুটে আসলে মহসিন ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে জানান তিনি। গত হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে তিনি বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন অন্যদিকে মহসিন ছিলেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়ার সমর্থক। নির্বাচনে মাহবুব মিয়া পরাজিত হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল মহসিন।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল ইসলাম মৃধা বলেন, ধারালো কোন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। বাম হাতের একটি আঙুল সহ বেশ খানিকটা জায়গা কেটে গেছে। ৮টি সেলাই লেগেছে তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী জানান, স্থানীয় সূত্র থেকে এরকম একটি খবর পেয়েছি। এখনো পর্যন্ত কেউ থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
এদিকে আহতের বাবা জুলহাস বেপারী জানিয়েছেন তারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন তার প্রক্রিয়া চলছে।