নওগাঁর মান্দায় নিখোঁজের সাড়ে ৮ ঘন্টা পর চানাচুর বিক্রেতা মনসুর রহমানের (৪০) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। নিহতের বাবা বদের আলী কবিরাজ রওফে বুদু কবিরাজ বাদী হয়ে বুধবার রাতে মান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উপজেলার চককালিকাপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম বুধবার রাত থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় চানাচুর বিক্রেতা মনসুর রহমানের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে আলমত হিসেবে একটি মাফলার জব্দ করেছে পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটন করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। খুব শিগগিরই জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গোয়ালমান্দা ফকিরপাড়া গ্রামের বুদু করিবাজের ছেলে চানাচুর বিক্রেতা মনসুর রহমানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান চককালিকাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম। এরপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। বুধবার সকাল ৬ টার দিকে গ্রামের মাঠে ইউক্যালিপটাস বাগান থেকে মনসুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।