মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সম্পত্তি নিয়ে শত্রুতার জেরে ভাইয়ের দায়ের কোপে বোন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামে।
জানাযায়, খালপাড় গ্রামের আবুল হোসেন (৭০) গত ৪৮ বছর আগে ২ শরিকে ৯৩ শতাংশ জমি কিনেন একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের নিকট থেকে। এরপর গত ২২ বছর আগে জমি বিক্রেতার ভাতিজী শেফালী বেগমকে বিয়ে করেন তিনি। পরবর্তিতে তার শ^শুর সামসুদ্দিন বেপারী দাবী করেন, ভাই তাদের না জানিয়ে জমি বিক্রি করেছে। তার শ^শুর সে সময় তাকে জানান যেহেতেু জমি তারা ভোগ করছেন তাই আপাতত তারা ভোগ করবেন তার শ^শুরের মৃত্যুর পর জমি নিতে বললে আবুল মেনে নেন। তার শ^শুর মারা যাওয়ার পর তিনি জমি ভোগ দখলে আছেন। কয়েক বছর ধরে আবুল হোসেনের সমন্ধি তারা মিয়া ও মহিউদ্দিন জমি দখলের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে কয়েক বছর যাবৎ শত্রুতা চলছে। গত বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর শেফালী বেগম জমিতে কাজ করতে গেলে তারই ভাই মহিউদ্দিন, তারা মিয়া, ভাগিনা শিতল ও মিলন হামলা করে। সবাই মিলে তাকে বেদম মারধর করে। মহিউদ্দিনের হাতে থাকা দা দিয়ে কোপ দিলে শেফালীর ডান হাতের একটি আঙুল এবং বাম হাতে কোপ লেগে বেশ কেটে যায়। প্রাথমিক ভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
শেফালী বেগম জানান, আমার স্বামীর সম্পত্তি আমার ভাইয়েরা ফেরৎ দেয় না। আমাদের নানা ভাবে অত্যাচার করে সাথে এলাকার আরো কয়েকজন আমাদের জমি জোর দখল করেছে। গতকাল আমার ভাই ও তাদের ছেলেরা আমাকে মারধর করে। দা দিয়ে একটা কোপ দেয় আমি দুই হাত দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করি আমার দুই হাতেই অনেক কেটেছে, আঙ্গুলে ৪ টি সেলাই ও হাতে ৫ সেলাই লেগেছে। আর সারা শরীরে লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তিনি কয়েকদিনের মধ্যে এর মিমাংশা করে দিবেন বলেছেন।
আবুল হোসেন জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়ি থাকতে পারছিনা তারা মিয়া, মহিউদ্দিনসহ এলাকার একটা বড় সিন্ডিকেট আমার জমি জমা দখল করে রেখেছে। বাড়ির কিছু জায়গাও দখল করে নিয়েছে আরেকটি পক্ষ। সবাই মিলে আমাকে এলাকা ছাড়া করে আমার জায়গা লুটপাট করে খাওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় ভাবে আমি কোন বিচার পাই না। আমাকে পেলে তারা মারধর করে আমি এলাকায় ভয়ে যাই না, মেয়ের বাড়ি ও স্বজনদের কাছে থাকি, আর কত দিন এভাবে চলবে জানিনা। প্রতি বছর একটা না একটা হামলা করে, আমাকে, আমার স্ত্রীকে কয়েক বার মেরেছে, ছেলেকে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছিলো, এর আগে মেয়েকে মেরেছে, জমিতে ফসল লাগালে কেটে নিয়ে যায়। বুধবার আমার স্ত্রীকে মেরেছে। শেখর নগর অভিযোগ কেন্দ্রে ও সিরাজদিখান থানায় আর কতবার যাবো। তারা তো কাউকে মানে না। তাছাড়া গ্রামের ও আমার বাড়ির আসপাশের আরো কয়েকজন আমার কয়েকটি জায়গার কিছু অংশ দখল করে রেখেছে। আদালতে মামলা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে বিবাদী মহিউদ্দিনের মোবাইল ফোনের দুটি নাম্বারে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।
থানা ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তাইফুল জানান ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করায় কেটেছে, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার করেছি।