বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতার নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই আওয়ামী লীগ রক্ত ঝরানোর খেলায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে। জোর করে টিকে থাকতে গিয়ে নিজ দলের লোকদের দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করার চেষ্টা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মিসভায় যাওয়ার পথে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের গাড়িবহরে হামলা, কৃষক দলের সহ-সভাপতি আবুল বাশার আকন্দের গাড়িসহ অন্যান্য নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। শেরপুরে নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা নিঃসন্দেহে কাপুরুষতা। অশুভ উদ্দেশ্যেই তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তা-ব চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী সরকার। আর এজন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মী কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না তারা। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের গাড়িবহরে হামলা, নেতাকর্মীদের আহত করা এবং শেরপুরে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করাসহ ৬৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ফুলপুরে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি শামসুল হক, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালমান ডুনন, সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ, যুগ্ম-সম্পাদক ফারুক হোসাইন, জেলা বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম ভূইয়া মনিকে আহত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফুলপুরে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে উল্টো ফুলপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিপুল কবির, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক টুটুল, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক শাহজাহান সিরাজসহ ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কৃষকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলামকে। তিনি আরও বলেন, শেরপুরে গুরুতর আহত করা হয়েছে বিএনপি নেতা মো. আবদুস সাত্তার, মো. হারুন মিয়া, রিপন তালুকদার, ছাত্রদল নেতা সাগর আহাম্মেদ, হৃদয় হাসান, খালিদুজ্জামান আসিফ, আবু আছরা রনিসহ ১০০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে। শেরপুরে শহর বিএনপি সভাপতি এ বি এম মামুনুর রশিদ পলাশ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রুমি, আমিনুল ইসলাম শিপন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. দুলাল হোসেন, যুবদল নেতা মো. আতাউর রহমান আতা, ছাত্রদল নেতা মো. শওকত হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মামুন অর রশিদসহ ৬৬ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব ঘটনা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর চলমান জুলুম-নির্যাতনের খ-চিত্র বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।